ছবি : প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন
ঢাকা : প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার ‘ফটোগ্রাফিক গাইড টু দ্য ওয়াইল্ডলাইফ অব বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। চ্যানেল আইয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বন্যপ্রাণি বিষয়ক বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়।
উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস গ্রুপ ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, পরিবেশ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক, বইটির লেখক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খানসহ আরো অনেকে।
বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ এম. মনিরুল এইচ. খানের ২০ বছর ধরে গবেষণার ফসল বইটি। বনভূমি ধ্বংস ও নির্বিচারে বন্যপ্রাণি হত্যার কারণে দেশে বৈচিত্র্যময় বন ও বন্যপ্রাণির সংখ্যা হ্রাসের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এতে। কমপক্ষে ১৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণি দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং আরো কয়েক প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৩৮ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৬৯০ প্রজাতির পাখি, ১৭১ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৩৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী দেখা যায়, যার মধ্যে ৯৪ প্রজাতির বন্যপ্রাণি সারা পৃথিবীতে বিপন্ন।
বন্যপ্রাণির আবাসস্থল সংরক্ষণে বাংলাদেশে আইন থাকলেও যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। তাই সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হচ্ছে না। এরপরও যথাযথ উদ্যোগ নিলে বন্যপ্রাণি বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে উল্লেখ করা হয়েছে এ বইতে। এতে ৭৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৫১৬ প্রজাতির পাখি, ১০৩ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৪৬ প্রজাতির উভচর প্রাণীর ছবি, শনাক্তকারী তথ্য ও বাংলাদেশে এদের বিস্তার সম্বন্ধে তথ্য দেয়া হয়েছে।
বইটিতে বাংলাদেশের বন্যপ্রাণির ১ হাজার ৩৮৪ টি রঙিন ছবি আছে, যার অধিকাংশই নতুন। একইসঙ্গে বইটিতে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত পাওয়া সব স্তন্যপায়ী, পাখি, সরীসৃপ ও উভচর প্রাণীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা, এদের অবস্থা ও বিস্তার সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে। ম্যাট পেপারে ঝকঝকে ৪৮৮ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে আরণ্যক ফাউন্ডেশন এবং সহযোগিতা করেছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। তৃণমূল পর্যায়ে আগ্রহ ও সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন বক্তারা।