ঢাকা : শিল্প এবং স্থাপত্যকে নতুন আঙ্গিকে মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় শুরু হচ্ছে দক্ষিণ এশীয় শিল্পকর্মের জন্য বৃহত্তম আন্তর্জাতিক প্লাটফম ঢাকা আর্ট সামিট (ডাস)। ঢাকা আর্ট সামিট এর চতুর্থতম এ পর্ব বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামি ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সামিটটি জনসাধারনের জন্য সর্ম্পূনভাবে উন্মুক্ত এবং টিকেটবিহীন।
ঢাকা আর্ট সামিট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আর্ট সামিটের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান এবং সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাদিয়া সামদানী।
এ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে ৩৫টি দেশের ৩০০ এর বেশি শিল্পী। দক্ষিণ এশিয়ার কিছুটা অজানা এবং একই সাথে সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় শিল্পকলার উন্নয়নকে সামনে রেখে সামিটে ১২০ জনেরও বেশি বক্তার অংশগ্রহণে থাকবে মোট ১৬ টি প্যানেল আলোচনা এবং ২টি সিম্পোজিয়াম। প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের জন্য সামদানী আর্ট এওয়ার্ড এবং সামদানী সেমিনার প্রোগ্রামের আয়োজন থাকবে।
৫৫টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আর্ট সামিটের সাথে পার্টনার হিসাবে থাকছে, এছারাও সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরো রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
সামিটে ২০১৮ সংস্করনে দক্ষিণ ও দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সংপৃক্ততাকে তুলে ধরা হবে নতুনভাবে। জাতীয় উন্নয়নকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করার জন্য রয়েছে শ্রীলঙ্কার অজানা শিল্পকলার ইতিহাস। এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার প্রদর্শনীর ইতিহাসের ওপর আলোকপাত করা হবে। সামিটে এবার প্রথমবারের মত সংম্পৃক্ত হতে যাচ্ছে ইরান ও তুরস্ক।
বাংলাদেশের প্রায় শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে এবারের সামিটে। বাংলাদেশি ১২টি আর্টিস্ট-লেড অর্গানাইজেশন তাদের শিল্পীদের নিয়ে ঢাকা আর্ট সামিটে অংশগ্রহণ করছে। ঢাকা আর্ট সামিট ২০১৮ কে সামনে রেখে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক কিউরেটর, শিল্পী, লেখক, গবেষক, সমালোচকবৃন্দ বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছেন। এবার সামিটে ১২০০-এরও অধিক আন্তর্জাতিক অতিথি সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের শিল্পকর্ম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দেওয়া আর্ট সামিটের অন্যতম উদ্দেশ্য। এর অংশ হিসেবে আর্ট সামিটে থাকছে এশীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর অন্যতম পুরানো প্ল্যাটফর্ম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উপর একটি বিশেষ প্রদর্শনী যেখানে প্রখ্যাত বাংলাদেশী শিল্পী সফিউদ্দিন আহমেদ, এম এম সুলতানসহ অন্যান্য শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী করা হবে। এ প্রদর্শনী আর্কাইভে সহযোগিতায় আছে জাপানের ফুকোওয়াকা মিউজিয়াম এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
ঢাকা আর্ট সামিট দক্ষিণ এশীয় শিল্পকর্মের জন্য জন্য বৃহত্তম আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম। এখানে থাকছে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, ভিডিও আর্ট, তাছাড়াও থাকছে আন্তর্জাতিক শিল্পীদের অংশগ্রহনে মাল্টিস্টেজ পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম যা এবারের ঢাকা আর্ট সামিটের বিশেষ আকর্ষণ হয়ে থাকবে।