ছবি: বহুমাত্রিক.কম
নওগাঁ : নওগাঁর বদলগাছীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক নির্মাণাধীন নাজিপুর-এনায়েতপুর রাস্তায় অত্যন্ত নিন্মমানের নম্বরবিহীন ইটে চলছে রাস্তা পাকাকরণের নির্মাণ কাজ।
এলাকাবাসী একাধীকবার কর্তৃপক্ষ সহ এলাকার সন্তান স্থানীয় সরকার ( এলজিইডি) মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কাছে অভিযোগ করলেও হয়নি সমাধান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে লোক দেখানোর জন্য কিছু ইট ফেরত নিয়ে আসা হলেও পুনরায় ঐ ইট দিয়ে চলছে নির্মাণ কাজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ কর্তৃপক্ষের জোগসাজসেই এমনটি হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউপির নাজিরপুর ব্রীজ মোড় হতে এনায়েতপুর বাজার হয়ে উপজেলার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ২৪৭০ মিটার রাস্তাটি ১ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার ১শ’ ১৪ টাকা ব্যয়ে চলতি বছরের টেন্ডারের প্রেক্ষিতে পাকাকরণের নির্মাণ কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তরফদার টের্ডাস।
রাস্তাটির নির্মাণের শুরু থেকেই হচ্ছে অনিয়ম। বক্সকাটিং এর পর রোলার দিয়ে না ডলেই কমশন ঢালাইয়ে বালুর পরির্বতে দেওয়া হয়েছে প্রায় মাটি। আর শুরু থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œমানের নম্বরবিহীন ইট।
কাজটি করা হচ্ছে ঠিকাদারের খেয়াল খুশি মত কচ্ছব গতিতে। এজন্য এলাকাবাসীর ভোগান্তিও বেড়েছে চরম আকাঁরে। বহু দিনের কাক্ষিত রাস্তাটি বেশী কিছু করার কারণে যদি কাজ বন্ধ হয়ে যায় এই কারনে প্রতিবাদ করতেও ভয় করছে এলাকাবাসী।
এনায়েতপুর গ্রামের বয়জেষ্ঠ আক্তার হামিদ জানান, রাস্তাটি যে ইট দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে তা কোন নম্বরের মধ্যেই পরেনা। এই ইটগুলো হচ্ছে ৩ নম্বর এর ভূষা এবং বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়া ইট।
স্থানীয় বাসিন্দা মোসলেম, জিয়াউল, রেজাউল, রাকিব, মজিদসহ আরও অনেকে জানান, শুরু থেকেই নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে এই রাস্তাটির কাজ করছে ঠিকাদার। সেটাও আবার এলজিইডির লোকের সামনেই কিন্তু তারা কিছুই বলেনা। বাধ্য হয়ে আমরা ইট নিয়ে সচিব সৌরেন বাবুর যখন বাড়ি এসেছিল তার কাছে ইট নিয়ে গিয়েছিলাম। ইট দেখে তিনি বলেছেন আমি অফিসকে বলে দিচ্ছি আর খারাপ ইট দিয়ে কাজ হবেনা। অথচ এখন ঐ ইট দিয়েই কাজ হচ্ছে।
তরফদার ট্রের্ডাস এর সাব ঠিকাদার শামীম হোসেন জানান, কাজটির বিষয়ে প্রথমে যে অভিযোগ উঠেছিল তা সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। ইটগুলো ফেরত আনা হয়েছে। পরে যদি কোন খারাপ ইট যায় তাহলে তা আমাদের জানার বাহিরে ইট ভাটা হতে দেওয়া হয়েছে।
কাজটি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বরত এসও ফেরাউল ইসলাম বলেন, এ রাস্তাটির বিষয়ে আমার কাছে এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। কাজটি ভালভাবেই হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় অভিযোগ পেয়ে খারাপ ইটগুলো ফেরত পাঠানো হয়েছে। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী স্যারও সাইট পরিদর্শন করেছে। যতদূর জানি এখন ভাল ইট দিয়েই কাজ হচ্ছে। তবু আমি আবার খোঁজ নিয়ে দেখব।
বহুমাত্রিক.কম