Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৫ ১৪৩১, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো ২০ মাঝি নিখোঁজ

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:০১, ১৯ জুন ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো ২০ মাঝি নিখোঁজ

ঢাকা : বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী-কুতুবদিয়া চ্যানেলের সোনারচরে ‘এফবি জহরলাল’ নামের ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো ২০ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক আগে গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে তারা নিখোঁজ হন। নিখোঁজ মাঝিদের ১৭ জনেরই বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। অন্যদের মধ্যে একজনের বাড়ি চকরিয়ায়। একজন কুতুবদিয়ার ও একজন লক্ষ্মীপুরের বলে জানা গেছে।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। নিখোঁজ ফিশিং ট্রলারের খোঁজে সাগর ও আশপাশের উপকূলীয় এলাকায় যৌথভাবে আমাদের উদ্ধার কাজ চলছে। পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও কোস্ট গার্ড একযোগে নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের খোঁজ পেতে প্রয়োজনীয় সকল তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’

নিাখোঁজ মাঝিমাল্লারা হলেন- সুবল জলদাস, সৌরভ জলদাস, ভুলুরাম জলদাস, তপন দাশ, অসীম জলদাস, জিয়া জলদাস, রিটন কান্তি দাশ, উপেন্দ্র দাশ, সজল কান্তি দাশ, মো. মোস্তফা আলী, ভিমু রাম দাশ, কর্ণ মাঝি, মৃদুল কান্তি দাশ, শিমুল দাশ, অনিল দাশ, ব্রহ্মাপদ দাশ, নিরঞ্জন দাশ, মদন জলদাস, বিমল দাশ ও মঈন উদ্দিন ড্রাইভার।

নিখোঁজ ফিশিং ট্রলারের মালিক হরিহর কৈবর্ত দাশ ট্রলার ডুবির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৩১ মে বাঁশখালীর শেখেরখিল থেকে ‘এফবি জহরলাল’ ট্রলারটি ছেড়ে যায়। কিন্তু ৯ জুন রাত ১২টার পর থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ওইদিন সাগরে লঘু চাপের ফলে আবহাওয়া দপ্তর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করে। ধারণা করা হচ্ছে উত্তাল সাগরে ট্রলারটি ডুবে গেছে।

তিনি বলেন, ‘এরপর থেকে সম্ভাব্য সব স্থানে যোগাযোগ করেও তাদের কোন খবর পাইনি। এজন্য থানায় জিডি করেছি।’

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer