ঢাকা : খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সকল পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাাষণ : বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এডভোকেট কামরুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির অনুপ্রেরণা। তাঁর এ বক্তব্য ছিল অলিখিত যা মুক্তিযুদ্ধে মন্ত্রমুগ্ধের মতো কাজ করেছিল। এই ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে তিনি সবরকম দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন দেশের তরুণ প্রজন্মকে ভুল ইতিহাস শেখানো হয়েছিল। সঠিক ইতিহাস থেকে তাদেরকে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। সেইদিন আর খুব বেশি দূরে নয় যেদিন সমগ্র বিশ্বে ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে গবেষণা করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনেই সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনা করবেন বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। মন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে সেদিকে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ’৭১-এর পরাজিত শক্তিরাই তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। তাদের চূড়ান্ত টার্গেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিজেদের মধ্যে সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকলকে অতন্ত্র প্রহরীর মতো সজাগ থাকার আহবান জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের মহাসচিব নাজমুল হাসান পাখি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তযোদ্ধা শফিকুর রহমান।