ঢাকা : ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ এর ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু -১ এর ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ ৪৩ ভাগ, এন্টিনা তৈরির কাজ ৫৬ ভাগ এবং যোগাযোগ ও সার্ভিস মডুলসের ৬৫ ভাগ কাজ হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম শুক্রবার বিটিসিএল গুলশান-১ এক্সচেঞ্জ অফিসে স্যাটেলাইট ও বিটিসিএল’র অপটিক ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
তিনি স্যাটেলাইট সিস্টেম রিকয়ারমেন্ট রিভিউ (এসআরআর) প্রিলিমিনারি ডিজাইন রিভিউ (পিডিআর) এর উল্লেখ করে বলেন, আগামী বছরের ১৬ ডিসেম্বর মহাকাশে এটি উৎক্ষেপনের পর আমরা ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে বাণিজ্যিক অপরেশন শুরু করব।
তিনি বলেন, বর্তমান কাজের গতিধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে স্যাটেলাইটটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। স্যাটেলাইটটি কেপ কার্নিভাল লাঞ্চ প্যাড থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভেহিকেল স্পেস এবং ফলকন-৯ ব্যবহার করে উৎক্ষেপন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎক্ষেপনের এক মাস আগে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও মহড়া, বিশেষ করে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপনের জন্য বিভিন্ন অংশ সংযোজন করা হবে। এর পর নিমার্নকারি প্রতিষ্ঠানটি ফ্রান্সের থালেস এলেনিয়া পরীক্ষা শেষে এটি ক্যাপ কার্নিভালের কাছে হস্তান্তর করবে।
স্যাটেলাইট প্রকল্প পরিচালক গোলাম রাজ্জাক বলেন, চূড়ান্ত পযার্য়ে উৎক্ষেপনের আগে উৎক্ষেপন প্যাডে প্রস্তুতির জন্য প্রায় দু’মাস সময় প্রয়োজন। তবে যথা সময়ে এটি উৎক্ষেপন করার ব্যাপারে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাউন্ড ষ্টেশনের প্রায় ৪০ ভাগ নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ শিগগির সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, থালেস এলেনিয়া গ্রাউন্ড ষ্টেশনের যন্ত্রপাতি ক্রয় কাজ নভেম্বর মাসে হবে।
গাজীপুরে বিটিসিএল স্টাফ কলেজ কম্পাউন্ডে স্যাটেলাইটের প্রাথমিক গ্রাউন্ড ষ্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে এবং দ্বিতীয়টি নির্মীত হবে রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায়।
গত বছরের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) স্যাটেলাইট সিস্টেম ক্রয় করার জন্য থালেস এলেনিয়ার সঙ্গে দুই হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। সেপ্টেম্বর মাসে বিটিআরসি এইচএসবিসির সঙ্গে এক হাজার চারশত কোটি টাকার একটি লোন চুক্তি স্বাক্ষর করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিটিসিএল’র অপটিকেল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপনে ১৩ হাজার কিলোমিটার অপটিক ক্যাবল বসানো হয়েছে। ২২ হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিকেল ক্যাবল বসানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
তারানা হালিম বলেন, অপর একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আরো ১৩ হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক ক্যাবল বসানো হয়েছে। তিনি এই ক্যাবল ব্যবহার করে ব্রডব্যান্ডের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। প্রেস ব্রিফিংএ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।