Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৬ ১৪৩১, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গবন্ধু জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ১২ আগস্ট ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

বঙ্গবন্ধু জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন

ঢাকা : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তিনি যথাযথ কর্মপন্থার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ২৮ অক্টোবর তাঁর নির্বাচনী বক্তৃতায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।

বন্যা নিয়ন্ত্রণের পরে বিদ্যুৎ খাতকে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বহুগুণ বাড়াতেহবে। গ্রামেগঞ্জে যাতে ছোট ছোট শিল্প কারখানা গড়ে উঠে সে জন্য ব্যাপক পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্মসূচিও নিতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের সংবিধানে বিদ্যুৎকে জনগণের অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

এই দূরদর্শী নেতা মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস ও ইন্দোনেশিয়ার পার্টেমিনার লক্ষ্য ও আদলে জ্বালানি নিরাপত্তায় ওয়েল, গ্যাস এ্যান্ড মিনারেল কর্পোরেশন (পেট্টোবাংলা) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি মাইলফলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে ঢাকা মহানগরীতে প্রাথমিক গ্যাস বিতরণ কার্যক্রম এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) প্রতিষ্ঠা করেন। মাত্র ২শ’ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে বিউবো’র কার্যক্রম শুরু হয়। জাতির পিতা রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বৃহদাকারের ঘোড়াশাল ও শাহজিবাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেন।

বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট শেল বিভি হল্যান্ডের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ, রশিদপুর ও কৈলাশটিলা এই ৫টি গ্যাস ক্ষেত্র লাভ করেন। এই ঐতিহাসিক চুক্তি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে বড় ধরনের পথের উন্মোচন করে। এ পর্যন্ত এই ৫ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রায় ৮.৭৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস উৎপাদিত হয়েছে। এই গ্যাস ক্ষেত্রগুলো এখনো বাংলাদেশের গ্যাস ও জ্বালানি খাতের মেরুদন্ড।

বঙ্গবন্ধু বঙ্গোপসাগরে তেল ও গ্যাস উত্তোলনে সম্পৃক্ত ৬টি আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রক্ট (পিএসসি) চালু করেন।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer