ছবি: বহুমাত্রিক.কম
বগুড়া : বগুড়ায় ভিওআইপি চক্রের সাথে জরিত অবৈধ মোবাইল সিম ব্যবসায়ী একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই চক্রের ৯ সদস্যকে। উদ্ধার করা হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশনকৃত ২৭৯৫টি মোবাইল সিমকার্ড ।
মঙ্গলবার জেলা পুলিশ দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বিপিএম উপস্থিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া পার্সনদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান , জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া চকযাদু ক্রস লেনের প্রেসপট্রির ‘আকন্দ লজের’ নিচতলা থেকে চারজনকে প্রথমে গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ওই এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে আশিক দৌলাতানা ওরফে অভি (৩৩), মৃত আব্দুল গোফ্ফারের ছেলে নয়ন ইসলাম (২৮), মৃত মিঠু শেখের ছেলে রিয়াল শেখ (২০) এবং এনামুল হোসেনের ছেলে রাফিউল ইসলাম অন্তর (২০)। এসময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৩৭০টি রবি, ৩২৫টি গ্রামীণ এবং ১০০টি টেলিটক কোম্পানির মোবাইল সিমকার্ড সহ মোট ২ হাজার ৭৯৫টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
পুলিশের ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদে মূল আসামী আশিক দৌলাতানা ওরফে অভির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে শহরের শিববাটি এলাকার গোলাম রসুল খান রানার ছেলে রবি মোবাইল ফোন কোম্পানির ডিলার রাফিদ হাসান খান (২৬), চকঝপু পূর্বপাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে লিটন মিয়া (৩০), নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়ার মনছুর আলীর ছেলে মঞ্জুরুল হক মঞ্জু (২২), শাজাহানপুরের চাঙ্গুর পূর্বপাড়ার রেজাউল করিমের ছেলে শফিউল আলম শাকিল (২৮) এবং গাবতলীর জামিলবাড়ীয়ার আব্দুল করিমের ছেলে সেলিম রেজাকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বিপিএম আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত রাফিদ হাসান খান বিভিন্ন রিটেইলারের নিকট থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিষ্ট্রেশন করা রবি সহ বিভিন্ন কোম্পানীর সিম সংগ্রহ করে মূল আসামী অভিকে দেয়। এই চক্রটি বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম সংগ্রহ করে ঢাকা ও সিলেটের দুজন ভিওআইপি ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করে থাকে। পরে সেগুলি ঢাকা ও সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন শহরের পাচার করা হত।
ভিওআইপি ব্যবসা এবং প্রতারণা সহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘটনের কাজে এসব সিম ব্যবহার হয়ে থাকে বলে পুলিশ সুপার জানান। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে পুলিশ সুপার মন্তব্য করেন। একই সাথে এবিষয়ে বিটিআরসির সহায়তায় এই চক্রের মূলোৎপাটনে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
বহুমাত্রিক.কম