ছবি : বহুমাত্রিক.কম
বগুড়া : শীতের তীব্রতায় বগুড়া ও এর আশেপাশের এলাকার ছিন্নমুল মানুষের অসহায়ত্ব তীব্র আকার ধারন করেছে।
শীত বস্ত্রের অভাবে দরিদ্র মানুষগুলোর হাড় কাঁপলেও এগিয়ে আসছেনা জনপ্রতিনিধি বা দায়িত্ববান কোন ব্যক্তি। তবে সরকারিভাবে কিছু কম্বল বিতরণ করা হলেও চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
যদিও মাঘ মাস এখনও আসেনি তথাপি পৌষের শীতেই কাঁপছে উত্তরের জনপদ।প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে তাপমাত্রা। সোমবার বগুড়ার তাপমাত্রা ছিল ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৌসুমের শুরুতে শীত তেমন অনুভূত না হলেও গত কয়েকদিনের মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীত বেড়েছে প্রচন্ড হারে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন ছিন্নমূল লোকজন। তীব্র শীতে রেলস্টেশন, ফুটপাত ও বিভিন্ন খোলা স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। তাই শীতের কারণে শহরের ফুটপাত ও হকার্স মার্কেট সহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে সীমাহীন।
এলাকা ঘুড়ে দেখাগেছে, গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শীতে এ এলাকার দরিদ্র মানুষ অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এসব শীতার্ত মানুষগুলো জানায়, শীতের দাপটে তাদের রাতের ঘুম হারিয়ে গেছে। শৈত্য প্রবাহে দৈনন্দিন চলাফেরা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে কাজকর্ম। ফলে শুধু শীতের কষ্ট নয় উপার্জনের অভাবে অনেকটা অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে তাদের বেশীরভাগ দিন।
শীতের দাপট এতটাই প্রকট যে দিনের বেলাতেও কর্ম বিমুখ হয়ে আগুন পোহাতে হচ্ছে অনেককে। আবার উপার্জনের যে অর্থ পান, বাজার দরের উচ্চ মূল্যের কারনে তা দিয়ে নুন আনতে পানতা ফুড়ায়।
তা সত্বেও তাদের অসহায়ত্ব বিবেচনায় রেখে শীতবস্ত্র নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ নেই। তবে সরকার কর্তৃক কিছু কম্বল বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল বলে জানা গেছে। জেলার আনাচে কানাচে শীতার্ত মানুষের খোঁজ রাখছেনা কেহই।
মানবেতর এসব মানুষ অভিযোগ করে বলেন, ভোটের সময় তাদের খোজ রাখা হলেও প্রয়োজনের সময় এসব জনপ্রতিনিধিদের দেখা মিলেনা।