বগুড়া : বগুড়া সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও এবং নাক, কান, গলা বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মাহমুদুল হক মামুনের ভুল অপারেশনে সাড়ে চার বছরের শিশু নুসরাত জাহান সাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে শনিবার রাতে ডা. মাহমুদুল হক মামুন জানান, তার অপারেশনে কোনও ভুল হয়নি এবং জ্ঞান না ফেরায় শিশুটি ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে’ মারা গেছে। এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে মা-বাবা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তারা ওই চিকিৎসকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন। শিশু নুসরাত জাহান বগুড়া সদর উপজেলার মেঘাগাছা গ্রামের শাহাদত হোসেনের মেয়ে।
পিতা শাহাদত হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন ধরে নুসরাত গলায় ব্যথা অনূভব করছিল। সম্প্রতি তাকে ডক্টরস ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে গত ৭ জানুয়ারি বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগে যান। সেখানে ডা. মামুন জানান, নুসরাতের টনসিল বেড়ে গেছে। দ্রুত অপারেশন করতে হবে। তবে এই হাসপাতালের পরিবর্তে পাশেই পদ্মা ক্লিনিকে অপারেশন ভাল হবে। আর অপারেশনের জন্য তিনি সাত হাজার টাকা দাবি করেন।
ডাক্তারের কথামত তিনি শিশুটিকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে যান এবং টাকা গ্রহণের পর রাত পৌনে নয়টার দিকে ডা. মামুন অপারেশন করেন। আবার রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের আইসিইউতে রেফার্ড করা হয়। এ সময় ক্লিনিকের লোকজনই অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করাসহ সবকিছু করেন। কিন্তু শজিমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুসরাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহাদত হোসেন আরও জানান, শনিবার রাতে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সদর থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা তার মেয়ের লাশের ময়নাতদন্ত করার কথা বলেন। তবে তিনি ওই চিকিৎসকের সনদপত্র বাতিল এবং তিনি যেন আর কারও মায়ের বুক খালি না করতে পারেন, সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শাহাদত হোসেন।
এদিকে বগুড়া সদর থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘একটি শিশু মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ক্লিনিকে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। এপর্যন্ত স্বজনরা কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বহুমাত্রিক.কম