ছবি: বহুমাত্রিক.কম
বগুড়া : বগুড়ার শাজাহানপুরে পুলিশের পিটুনিতে মাসুদুল হক পিন্টু (৫০) নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পিন্টু উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের শাবরুল গ্রামের জাহান আলীর পুত্র এবং ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার ২২ জুলাই বিকালে শাবরুল গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
স্বজনরা অভিযোগ করেন, পুকুরের মালিকানা নিয়ে চাচা ইনসান হাজী এবং তার ছেলে মিল্টন ও অন্যদের সঙ্গে পিন্টুর বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষরা ক’দিন আগে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাকে আটক করে এবং পিটিয়ে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশের বেধড়ক পিটুনিতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ও শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম দাবি করেছেন, পিন্টু হৃদরোগে মারা গেছেন।
শাজাহানপুরের কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান জানান, পিন্টু একটি চুরি মামলার আসামী। গত ১৯ শে আগষ্ট তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হলে তিনি তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে ২২ আগষ্ট তাকে ধরতে যান। এরপর পিন্টুকে আটক করে ফাঁড়ীতে আনার সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবন্থায় তার মৃত্যু হয়।
পিন্টুর মেয়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী মেহেরুন নেছা অভিযোগ করে বলেন, কৈগাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ তার বাবাকে বাথরুম থেকে টেনে হেচড়ে বের করে। এরপর ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান আগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে মাথা, বুক, ঘাড় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এভাবে তাকে সিএনজি অটো রিকশায় তুলে নিয়ে যায়।
বহুমাত্রিক.কম