ঢাকা : বিশ্বখ্যাত মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ক্লে’র ছেলে মোহাম্মদ আলী জুনিয়রকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ফোর্ট লাওডারডেল-হলিউড আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দুই ঘণ্টা আটক রাখা হয়েছিল। এ সময়ে তার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে তাকে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জ্যামাইকা থেকে মাকে নিয়ে ফেরার পথে চলতি মাসের ৭ তারিখে এ ঘটনা ঘটে।
সাত মুসললিম দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাত্র চার দিন পর ঘটে এ ঘটনা।
আটক হলে মোহাম্মদ আলীর প্রথম স্ত্রী খালিলা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদেরকে সাবেক স্বামীর সঙ্গে তোলা ছবি দেখান। এতে জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে বেঁচে যান খালিলা। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বাবার সঙ্গে তোলা কোনো ছবি মোহাম্মদ আলী জুনিয়রের কাছে ছিল না।
৪৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলী জুনিয়রের কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই এবং তিনি মার্কিন পাসপোর্টধারী। তাকে হেনেন্তার ঘটনায় প্রচ- ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক ফেডারেল আইনজীবী এবং মোহাম্মদ আলীর পারিবারিক বন্ধু ক্রিস মানচিনি।
তিনি বলেন, ট্রাম্প যে দাবি করছেন, মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি তার কতোটা সত্য জানি না।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলী জুনিয়র মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছেন বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদ আলী গত ২০১৬ সালের ৩ জুন ইন্তেকাল করেন এবং তার বিপুল বিত্ত-বৈভবের কিছু অংশ পেয়েছেন মোহাম্মদ আলী জুনিয়র।