ঢাকা : হ্যাকিং নিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলান্দ বলেছেন, সম্ভাব্য বিজয়ী ইমানুয়েল ম্যাক্রন যে বড় ধরণের হ্যাকিং এর শিকার হয়েছে সেটার জবাব দেয়া হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের রাতে তিনি বলেন সবায় জানতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা ঝুঁকির মধ্যে পরতে পারে। তিনি মূলত এসময় আমেরিকার নির্বাচনের সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে হ্যাকিং এর অভিযোগ উঠে সেটাকে ইঙ্গিত করেন।
ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং তার প্রতিদ্বন্ধী ম্যারি লে পেন উভয় এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বিবিসির প্যারিস সংবাদদাতা বলছেন এই হ্যাকিং এর ঘটনা নির্বাচনের ফলাফলে খুব বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ফরাসি কর্তৃপক্ষ গতকাল শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ফাঁস হওয়া তথ্য নির্বাচনের প্রাক্কালে কেউ প্রচার করলে ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হবেন।তবে সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা বলছিলেন এই ঘটনা তাদেরকে একেবারেই বিস্মিত করেনি।
এখানে একজন বলছেন আমরা জানি এখানে বিদেশি শক্তি কাজ করছে যারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়। আরেকজন ব্যক্তি বলছেন এর আগেও এমনটা হয়েছে। এখন আমরা আধুনিক যুগে বাস করছি, তাই ব্যাপারটা হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে।
ফ্রান্সের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে যদি কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে অংশ নেবেন শীর্ষ দুই প্রার্থী।
২৩ তারিখের নির্বাচনে ৯৬ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, ২১.৪ শতাংশ ভোট পাওয়া উগ্র-ডানপন্থী এন এফ পার্টির নেতা মারি লে পেনের সাথে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৩.৯ ভাগ ভোট পাওয়া ম্যাক্রন।
লে পেন ২০১১ সালে তার বাবার কাছ থেকে ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতৃত্ব নেন এবং এরপর থেকে দলের চরমপন্থি অতীত থেকে সরে আসার চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে ৩৯ বছর বয়সী সাবেক বিনিয়োগ ব্যাংকার, ম্যাক্রন প্রেসিডেন্ট ওলাদের অধীনে অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।
নির্বাচনের প্রধান একটি ইস্যু বেকারত্ব। দেশটিতে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ। ২৮ টি ইইউ-ভুক্ত দেশের মধ্যে বেকারত্বের দিক দিয়ে ফ্রান্সের অবস্থান অষ্টম। আরেকটি প্রধান ইস্যু নিরাপত্তা। ফ্রান্স এখনো জরুরী অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, ইরাক এবং সিরিয়ায় যুদ্ধে যাওয়া শত-শত ফরাসী মুসলিম তরুণ হয়তো দেশে ফিরে নানা ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করবে। এখন যে প্রার্থাী জয় লাভ করুন না কেন তার উপর অনান্য চ্যালেঞ্জের আগে এই দুই সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। বিবিসি