ঢাকা : স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে একটু বেশিই সরব ছিলেন। দম্পতির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, তাঁদের সম্পর্কের কথা, সন্তান-সম্ভাবনার কথা ফেসবুকের বন্ধুদের বলে বেড়াতেন ফলাও করে। আর তাই দিন দিন বিরক্ত হয়ে উঠছিলেন স্বামী।
অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে স্ত্রীকে শাস্তি দেওয়া জরুরি মনে করল স্বামী। আর শাস্তি হিসাবে স্ত্রীকে হত্যা করল সে। স্ত্রীকে খুন করার পর নিজেও আত্মঘাতী হয় ওই ব্যক্তি।
গত বৃহস্পতিবার ভারতের পুণের ৩৪ বছরের রাকেশ গাঙ্গুরদে বৃহস্পতিবার স্ত্রী সোনালিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। তাঁদের দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। সেখানেই রাকেশ জানিয়েছিল, স্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় অতি সরব হওয়ার কথা। নিজেদের দাম্পত্য সম্পর্কে প্রায় সব কথাই ফেসবুকের বন্ধুদের বলে বেড়াতেন স্ত্রী সোনালি।
প্রসঙ্গত, রাকেশ ও সোনালির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁদের পরিবারে। গত চার বছর ধরে ভালই চলছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। দু’জনই চাকরি করতেন। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে চাকরি ছেড়েছিলেন সোনালি। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সোনালি চাকরি ছাড়ার পর থেকেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বেশি করে সময় কাটাতে শুরু করেছিলেন।