ঢাকা : সার্চ ইঞ্জিন গুগল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ভিডিও দেখার জনপ্রিয় সাইট ইউটিউবসহ ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকে করের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবীর পল্লব।
একইসঙ্গে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির নির্দেশ দেন আদালত যে কমিটি গত দশ বছরে ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে কত টাকা আয় করেছে তা তদন্ত করে দেখবে এবং এই আয়ের বিপরীতে কত টাকা ট্যাক্স আসে তা নির্ধারণ করে আগামী ২৫ জুনের মধ্যে হাইকোর্টে রিপোর্ট দাখিল করবে।
একইসঙ্গে ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কেন কর আদায় কারা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের ছয়জন আইনজীবী। রিটে একই সঙ্গে ডোমেইন এবং লাইসেন্স ক্রয় বাবদ কত টাকা আয় করেন তারা এবং বাংলাদেশ সরকারকে কত টাকা কর দেন তাও জানতে চাওয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে।রিটের বিবাদীরা হলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রথম আলোর সম্পাদক এবং বাংলাদেশ নিউজ পেপারস ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মতিউর রহমানসহ, গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু এবং ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।
রিট আবেদন করা আইনজীবীরা হলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউসার, অ্যাডভোকেট আবু জাফর মো. সালেহ, অ্যাডভোকেট অপূর্ব কুমার বিশ্বাস, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের।