ঢাকা : শ্রীলঙ্কায় ফার্মাসিউটিক্যাল, জাহাজ-নির্মাণ, পর্যটন, মৎস্য আহরণ এবং অন্যান্য উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত শ্রীলংকার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী রিশাদ বাথিউদ্দিন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত ঔষধের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত এবং শ্রীলংকায় বাংলাদেশের ঔষধের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের ওষুধ ব্যবসায়ীদের শ্রীলংকায় বিনিয়োগের আহবান জানান।
রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই’র সভাপতি আবুল কাসেম খানের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলংকার হাইকমিশনার ইয়াসোজা গুনাসেকেরা ও শ্রীলংকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি নাজিথ মুয়ানাগে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীলংকার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক জোরদারের আরো সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রীলংকার কলম্বো এবং হামবানটোটা সমুদ্রবন্দর ভৌগোলিকভাবেই অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে এবং বন্দরসমূহে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে পণ্য পরিবহনে শ্রীলংকার বন্দরসমূহ ব্যবহারের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শ্রীলংকার সাথে চীন ও ভারতসহ বেশকিছু দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) রয়েছে এবং বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার বাণিজ্য কার্যক্রম সম্প্রসারণে এফটিএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি দুদেশের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরের উপর গুরুত্বারোপ করে এ কার্যক্রমকে দ্রুত বস্তবায়নের জন্য ডিসিসিআই এবং শ্রীলংকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই’র সভাপতি আবুল কাসেম খান জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ শ্রীলংকা থেকে ৪৫.০১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে এবং বিপরীতে বাংলাদেশ শ্রীলংকায় ৩০.৪৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
তিনি দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে সাফটা’র আওতায় বিশেষায়িত পণ্য তালিকা পুনঃমূল্যায়নের প্রস্তাব করেন। ডিসিসিআই সভাপতি শ্রীংলকার উদ্যোক্তাদের কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরন, ফলমূল, পাট ও পাল্প পেপার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তৈরি পোষাক, টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সেবা, পর্যটন এবং শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান।