ছবি-সংগৃহীত
পটুয়াখালী: পায়রা নদীতে ব্রিজ নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠির জবাব হাতে পেল পটুয়াখালীর সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস।
ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত শীর্ষেন্দুকে লেখা প্রধানমন্ত্রীর চিঠিটি সোমবার বেলা ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে তুলে দেন স্থানীয় জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক।
প্রধানমন্ত্রী ওই চিঠিতে লিখেছেন- ‘স্নেহের শীর্ষেন্দু আমার স্নেহাশীষ নিও। তোমার চিঠি পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তুমি শুধু এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক নও বরং ভবিষ্যত প্রজন্মের এবং দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেয়ার অগ্রজ সৈনিক। আমি জানি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীটি অত্যন্ত খোরস্রোতা। নিজের পিতা-মাতাসহ অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই নদীকেন্দ্রিক তোমার নিরাপত্তা সচেতনতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি বুঝতে পারি তোমার বীর মুক্তিযোদ্ধা দাদুর প্রভাব রয়েছে তোমার ওপর। মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তোমাকে আশ্বস্ত করছি। তোমার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি। আমার দোয়া নিও। তোমার বাবা-মাসহ মুরুব্বিদের সালাম ও ছোটেদের দোয়া দিও। অনেক অনেক আদর নিও। শেখ হাসিনা।’
পটুয়াখালী সমবায় জেলা অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত শীর্ষেন্দু মা শিলা রানী সন্নামত জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ১৩ আগস্ট আমি ও আমার ছেলে শীর্ষেন্দু পায়রা নদী ও বিষখালী নদী পার হই। ওই অনুষ্ঠানে শীর্ষেন্দু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি রচনা লিখে তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
তিনি বলেন, ১৩ আগস্ট পায়রা নদী পার হওয়ার সময় আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল। আমার ছেলে শীর্ষেন্দু খুব ভয় পেয়েছিল। নদীতে প্রচণ্ড বেগে স্রোত ও ঢেউ ছিল। এরপর গত ১৫ আগস্ট রাতে আমার ছেলে ভয়কে মনে করে অনেক কান্নাকাটি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই রাতেই একটি চিঠি লিখে।
চিঠিতে শীর্ষেন্দু লিখেছিল, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি। আমাদের মির্জাগঞ্জ নদী পার হয়ে যেতে হয়। ওই নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ, কখনো নৌকা ডুবে যায়, কখনো কখনো ট্রলার ডুবে যায়।’
ওই চিঠিতে শীর্ষেন্দু আরও লিখেছিল- ‘আমাদের জন্য মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি ব্রিজ তৈরির ব্যবস্থা করুন।’
বহুমাত্রিক.কম