ছবি: বহুমাত্রিক.কম
গাজীপুর : গাজীপুরের কালীগঞ্জে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে আহত ওই প্রধান শিক্ষক বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে এবং ওই শিক্ষা অফিসারের বিচারের দাবিতে উপজেলা প্রাঙ্গনে ব্রাহ্মণগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর অবিভাবক ও শিক্ষকদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদ বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বালীগাঁও মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কাউছার মিয়ার ক্লাস বন্ধ করে তাকে সাথে নিয়ে ব্রাহ্মণগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান।
এ সময় শিক্ষা অফিসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিভিন্ন তথ্য দিতে বলেন। কিন্তু তথ্য দিতে দেরি হওয়ায় শিক্ষা অফিসার রেগে গিয়ে টেবিলে থাকা স্ট্যাপলার দিয়ে প্রধান শিক্ষকের মাথায় আঘাত করেন। এতে প্রধান শিক্ষকের মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই শিক্ষা অফিসার দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন। পরে স্থানীয়রা ওই প্রধান শিক্ষককে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদ ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন, পরিদর্শণে স্কুল ছুটির আগেই বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। আর তিন দিনের মধ্যে এর যথাযথ কারণ দর্শানোর কথা বলা হলে ওই শিক্ষক আমার উপর চড়াও হন।
স্কুল চলাকালীন সময় অন্য স্কুলের সহকারী শিক্ষক নিয়ে যাওয়ার এক প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, আমি নতুন, ওই স্কুলটা চিনিনা। অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসাররা কেউ ছিলেন না বিধায় বালীগাঁও মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কাউছার মিয়াকে সাথে নিয়েছিলাম।
সহকারী শিক্ষক মো. কাউছার মিয়া জানান, কর্তৃপক্ষ আমাকে আদেশ করলে সে আদেশ তো আমাকে মানতেই হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সেটি ডিসি স্যারের বরাবর পাঠানো হয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম