ঢাকা : মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংসতায় গত ২৫ আগস্ট থেকে প্রায় ৬ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে কক্সবাজারে এসেছে। এ নিয়ে এ এলাকায় ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। আইওএম’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।
রোহিঙ্গাদের অনেকেই প্রতিকূল পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থান করছে। অনেক স্থানে চলাচলের জন্য কোন রাস্তাও নেই। ফলে রোহিঙ্গাদের কাছে ত্রাণ ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।
কুতুপালংয়ের বালুখালির প্রায় ৪ লাখ ২৩ হাজার রোহিঙ্গার ব্যবস্থাপনা সমন্বয়কারী আইওএম’র পক্ষে এই এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ওই এলাকার রোহিঙ্গাদের ত্রাণসামগ্রীর ভারী মোট বয়ে পাহাড়ের খাড়া ও বিপজ্জনক রাস্তা দিয়ে নিজেদের আশ্রয় ক্যাম্পে পৌঁছতে হয়।
তবে গত অক্টোবরে আইওএম বালুখালিতে ৫০ হাজার রোহিঙ্গার কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে ৮৫০ মিটার রাস্তা তৈরি করেছে।
আইওএম’র স্যানিটেশন এ্যান্ড হাইজেনিক প্রকল্পের কর্মকর্তা স্টিফেন ওয়াসো ওটিনো বলেন, রাস্তাঘাটের অনেক উন্নতি হয়েছে। সরবরাহকারীরা এখন বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছেন। আইওএম আরো ৬টি রাস্তা ও ৫টি সেতু নির্মাণ করছে। সংস্থাটি ভূমিধসের আশঙ্কা নিরসনেও কাজ করছে।