Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৬ ১৪৩১, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

পৌরসভা ও সওজ’র রশি টানাটানি, অন্ধকারে জহুর সেতু

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০২:১১, ৮ জুলাই ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

পৌরসভা ও সওজ’র রশি টানাটানি, অন্ধকারে জহুর সেতু

ছবি: বহুমাত্রিক.কম

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর উপর নির্মিত আব্দুর জহুর সেতুটি সন্ধ্যার পর নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে। অন্ধকারকে সঙ্গী করেই এ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে ৪টি উপজেলা হাজার হাজার মানুষ।

উদ্ভোধনের ২বছর পার হলেও ব্রিজে বাতি জ্বালাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেতুটিতে ও সেতুর দু-পাশে সড়কে রাতের বেলায় জনসাধারণের চলাচলের জন্য কোন লাইট দেওয়ায় অন্ধকার থাকে সম্পূর্ণ সেতুটি ও দু’পাশের সড়ক।

জানা গেছে, সন্ধ্যার পর সেতুটিতে রাতে সিএনজি অটোরিক্সা, ট্রাক, টমটম, মটর সাইকেল, লাইটেস সহ বিভিন্ন যানবাহন চলার সময় কিছুক্ষণের জন্য আলোকিত হয় তারপর আবার অন্ধকার। সেতুটির দুই পাশের ও মাঝঅংশে অন্ধকারের মধ্যে রাতে লোকজনের চলাচল কম থাকায় ছিনতাই ও অপ্রীতিকর ঘটনা বাড়ছে।

জানা যায়, দীর্ঘ ১২ বছর পর ৭১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৫ সালে ২০আগষ্ট উদ্বোধন করা এই বহু প্রতীক্ষিত আব্দুর জহুর সেতুটি। এর পর থেকেই সেতুটি লাইট লাগানো নিয়ে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের মধ্যে চলছে এখনও রশি টানা টানি চলছে। এখনও এই রশি টানাটানির মধ্যে পড়ে রাতে আতঙ্কেও মধ্য দিয়ে চলাচল করছে সর্বস্তরের জনসাধারণ।

সেতুটি দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় দেখতে সেতুর দুই-প্রান্তেই পড়ন্ত বিকাল বেলায় জেলা সদর সহ বিভিন্ন উপজেলা লোকজনের আগমনে জনসমুদ্রে পরিনত হয়। আর সন্ধ্যার পরও অবস্থান করে শিশু,যুবক,নারী ও মধ্য বয়সী নারী সহ সর্বস্থরের লোকজন।

সেতুর দু-প্রান্তে ভ্রাম্যমান দোকান, চপপটি, ফুছকা, চা, পান, সিগেরেটের ভ্রাম্যমান দোকানের মালিকগন জানান-সেতুটিতে নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ করে সেতুর মাঝের অংশে লাইটের ব্যবস্থা করা এখন দরকার খুব বেশী।

তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন থেকে আসা সুহেল আহমেদ সাজু, মেহেদী হাসান ভূঁইয়া(জনমেজর) সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন ও সিএনজি, লেগুনা, মটর সাইকেল ড্রাইভার, স্থানীয় এলাকাবাসী জানান-নিরাপত্তার স্বার্থে সেতুটিতে আলোর ব্যবস্থা করা খুবেই প্রয়োজন। সন্ধ্যার পর এখানে ভয় লাগে, অন্ধকার ভূতুরে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যে কোন সময় অনাক্ষাখিত গঠনা গঠতে পারে। এব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান,প্রথমে যখন সেতুটি ডিজাইন করা হয় তখন কোনো লাইটিং এর বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত ছিল না। আমাদের এখান থেকে লাইটিং করার কোন সুযোগ নেই। যেহেতু সেতুটি পৌরসভার ভিতরে পরেছে তারা লাইটিং করলে ভাল হয়।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন বলেন,সড়কটি পৌরসভার ভিতরে ঠিক আছে কিন্তু সেতুটি আমাদের না। এটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের। রাস্তার বাতি লাগানোর জন্য আমরা সড়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে ছিঠি পাটিয়েছি বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য। বরাদ্ধ পেলে রাস্তায় বাতি লাগাতে পারি কিন্তু সেতুটিতে বাতি লাগানো আমাদের দায়িত্ব না।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer