Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১১ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পৃথিবীর সবচে’ কাছাকাঠি চিরবিস্ময়ের লালগ্রহ

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ৩০ মে ২০১৬

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

পৃথিবীর সবচে’ কাছাকাঠি চিরবিস্ময়ের লালগ্রহ

ঢাকা : আজ সেই মাহেন্দ্র ক্ষণ। সূর্য ডুবলেই টুক করে আকাশের দিকে তাকান। সঙ্গে টেলিস্কোপ থাকলে সোনায়-সোহাগা। লক্ষ্য স্থির করতে হবে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। দেখবেন, চিরবিস্ময়ের লালগ্রহকে। ২০০৩-এর পরে এত কাছ থেকে লালগ্রহকে আর দেখা যায়নি। আজ সন্ধ্যায় লালগ্রহ থেকে পৃথিবীর দূরত্ব হবে ৪৬.৭ মিলিয়ন মাইল। টেলিস্কোপ থাকলে লালগ্রহের মেরুতে জমে থাকা বরফের টুপিও চোখে পড়ে যেতে পারে।

সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী, মঙ্গল আর সূর্য ২৬ মাস অন্তর এক সরলরেখায় চলে আসে। বিজ্ঞানীরা একে বলেন অপজিশন। মহাকর্ষ, সূর্য থেকে দূরত্ব, পৃথিবীর মঙ্গলের থেকে দ্রুত ছোটা আর উপবৃত্তকার কক্ষপথের জন্য এই অবস্থায় পৃথিবী ও মঙ্গলের দূরত্ব সব সময় সমান হয় না। ২০০৩-এ এই দূরত্ব ছিল সব চেয়ে কম ৩৪.৬ মিলিয়ন মাইলের মতো। যা ১৫ হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। আজ সেই দূরত্ব হবে ৪৬.৭ মিলিয়ন মাইল। ২০১৮ তে এই দূরত্ব আবার কমে দাঁড়াবে ৩৫.৮ মিলিয়ন মাইল।

তবে, এ দিনের আকাশ দেখার আগে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ রয়েছে। কারণ, মঙ্গলের খুব কাছেই আরও একটি লাল মতো, প্রায় একই রকম বস্তু দেখতে পেতে পারেন। মঙ্গল বলে ভুল করবেন না যেন। এটি আসলে নক্ষত্র। নাম অ্যান্টারেস। একটু মন দিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন সেটি ঝিকমিক করছে। সূর্যের আলোয় আলোকিত মঙ্গলের আলো থাকবে স্থির। অ্যান্টারেস-এর এই ধোঁকাবাজির জন্য একে গ্রিকরা অ্যান্টিমার্স বলত।

এখানেই শেষ নয়, আকাশের একই দিকে, মঙ্গলের বাঁ দিকে, জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা যাকে কর্কটরাশিমণ্ডল বলেন, সেখানে থাকবেন স্বয়ং শনিও। শনি সামনের ৩ জুন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে। মঙ্গল, অ্যান্টারেস আর শনিকে সরলরেখায় জুড়লে ত্রিভূজের আকৃতি পাবেন।

আনন্দবাজার পত্রিকা

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer