ছবি : বহুমাত্রিক.কম
কুড়িগ্রাম : পাহাড়ি ঢলে বাধ ভেঙে ডুবে গেছে জেলার রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল। পানিবন্দি শত শত কৃষক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
নতুন বছরের শুরু থেকেই প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়েন স্থানীয় অধিবাসীরা। বৈশাখের প্রথম দিন থেকেই এক টানা ঝড় বৃষ্টিতে জেলার উত্তর এলাকার শত শত একর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে যায়।
রৌমারী উপজেলার সীমান্ত এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, তার চার বিঘা জমির ধান গত আট-দশদিন ধরে পানির নীচে। ওইসব ধান কেটে বাড়িতে আনা সম্ভব না।
একই এলাকার আবদুল জলিল জানান, তার পাচ বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। কিভাবে সারাবছর পরিবার নিয়ে বাঁচবে-সেই ভাবনায় দিশেহারা তিনি।
খেওয়ার চর সীমান্ত এলাকার নইম উদ্দিন বলেন, ‘এবার সব শেষ। পুলাপাইনরে খাওয়ামু কি ভাই- সাত বিঘা জমির ধান বেবাক ধান পানিতে তলিয়া গেছে। আমাগোরে কতাডা সরকারের কাছে জানায়েন
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামসুল হক জানান, রৌমারীতে এবার ৯ হাজার ৩শ’ ৯৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ হয়েছে। উপজেলার পাট চাষের লক্ষমাত্রা ৩ হাজার হেক্টর। অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে পাট চাষে বেহাল দশা।
তিনি বলেন, কালবৈশাখী আর অতিরিক্ত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাধ ভেঙে উপজেলার বহু ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
বহুমাত্রিক.কম