Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৫ ১৪৩১, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পাক-হাইকমিশন কর্মীকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা, ভারত ছাড়ার নির্দেশ

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৪১, ২৭ অক্টোবর ২০১৬

আপডেট: ১৩:৪৩, ২৭ অক্টোবর ২০১৬

প্রিন্ট:

পাক-হাইকমিশন কর্মীকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা, ভারত ছাড়ার নির্দেশ

ঢাকা : চরবৃত্তি ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকার অভিযোগে নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় পাক হাইকমিশনের এক আধিকারিক মেহমুদ আখতারকে।

পরে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় দিল্লি পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেও, তাকে অবিলম্বে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।

এছাড়া তাকে স্পর্শকাতর তথ্য পাচার করার অভিযোগে রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। তবে অভিযুক্ত আধিকারিক মেহমুদকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, এখনও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ।

এই ঘটনায় আজ সকালে বিদেশমন্ত্রক থেকে তলব করা হয় পাক হাইকমিশনার আব্দুল বশিতকে। তাঁকে সেখানে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ওই আধিকারিক ভারতে অবাঞ্ছিত, তাকে অবিলম্বে দেশ ছাড়তে হবে।

রাজস্থানে যেদুজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজনের নাম মৌলানা রমজান এবং অপরজন হল সুভাব জাঙ্গির। এরাই প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ওই আধিকারিককে পাচার করেছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এইমুহূর্তে ভারত-পাক অস্থির সম্পর্কের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানের নাগরিক নয়াদিল্লিতে পাক-হাইকমিশনে কর্মরত এই আধিকারিককে।

পুলিশ সূত্রে দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই মেহমুদ আখতারের ওপর নাজর রাখছিল দিল্লি পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে। তবে তাঁর গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে প্রথমে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ ছিল কেন্দ্র।

জানা গেছে, মেহমুদ তাঁর বিভিন্ন স্থানীয় নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভারতের প্রতিরক্ষা ও অন্য বিভিন্ন বিষয় স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করছিল। তবে সীমান্তের এপারে এধরনের গ্রেপ্তারির পর আগেও একাধিকবার ইসলামাবাদ ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মীদের হয়রান করেছে। আজকের এই ঘটনার ফল কী হবে, তা নিয়েই এখন চিন্তিত কূটনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত, একটি চরচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গতবছর নভেম্বরে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তাদের সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। গ্রেপ্তার সেই পাঁচ ব্যক্তির থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নজরদারি চালানো হচ্ছিল মেহমুদ আখতারের ওপর।

এবিপি আনন্দ

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer