ঢাকা : অধিকৃত পশ্চিম তীরে আড়াই হাজারের মতো নতুন বাড়িঘর নির্মাণের এক পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তিনি নিজে এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে জর্ডন নদীর পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিতে এসব বাড়িঘর নির্মাণ করা হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চারদিন পরেই ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলপন্থী নতুন সরকারের কারণে উৎসাহিত হয়েই নতুন এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পশ্চিম তীরে ইজরায়েলে যে নতুন আড়াই হাজার বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে, সেগুলো গড়ে তোলা হবে মূলত বর্তমান বসতিগুলোর ভেতরেই। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিতীয় বারের মতো ইজরায়েল পূর্ব জেরুসালেম আর পশ্চিম তীরে তাদের বসতি সম্প্রসারণের ঘোষণা দিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইজরায়েলের সাহস যে আরও বেড়ে গেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বারাক ওবামার শাসনামলে ইজরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল।
এর বিপরীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর জামাতা এবং তাদের মনোনীত নতুন রাষ্ট্রদূত, ইজরায়েলের পক্ষে জোরালো সমর্থনই শুধু জানায়নি, তারা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস পর্যন্ত জেরুসালেমে নিয়ে আসার কথা বলছে।
জেরুসালেমের মেয়র নির বারাকাত সোজাসাপ্টা জানিয়েই দিলেন যে তাদের বসতি নির্মাণের কাজ এখন আরও দ্রুততর হবে।
তিনি বলেন, ওবামা প্রশাসন গত আট বছর যে নীতি অনুসরণ করেছিলেন, তা ছিল তার পূর্বসূরি আর এখনকার ট্রাম্প প্রশাসন থেকে আলাদা। তিনি বসতি নির্মাণ বন্ধ রাখতে বলেছিলেন, যেটার সঙ্গে তারা একমত ছিলেন না। তিনি বলছেন, তারা বসতি নির্মাণ অব্যাহত রাখবেন এবং বিশ্বাস করেন ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে একটা আগের চেয়ে অনেক দ্রুততর হবে।
অনেকে মনে করেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আসলে কট্টর দক্ষিণপন্থীদের দিক থেকে যে চাপে আছেন, সে কারণেই উগ্র জাতীয়তাবাদীদের তুষ্ট করতে একাজ করছেন।
ফিলিস্তিনিরা ইজরায়েলের এই সর্বশেষ ঘোষণায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এটি শান্তির প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে, সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রবাদকে উৎসাহ যোগাবে।
তিনি ইজরায়েলের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।-বিবিসি বাংলা