ছবি-সংগৃহীত
ঢাকা : তরল বর্জ্য নির্গমণ করে নদ-নদীর পানি দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতি করায় গত বছর ১৩১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ দুষণের অপরাধে ২৯টি শিল্প ও কারখানা সীলগালা এবং ২০টি প্রতিষ্ঠানের বিদুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তরল বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা অর্থাৎ ইটিপি ব্যবস্থা না থাকায় ২ হাজার ১১২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে ২০৩ কোটি ৯ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল। বর্তমানে ৬০২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা চলছে। চলতি বছরের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, দেশের ৩৬৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইটিপি ব্যবস্থা নেই। সরকার শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২৯টি শিল্প ও কারখানা সীলগালা এবং ২০টি প্রতিষ্ঠানের বিদুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
বর্তমানে দেশের ১ হাজার ১১৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি ব্যবস্থা চালু রয়েছে এবং এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান তরল বর্জ্য নির্গমণ করে নদ-নদীর পানি দূষণ করে থাকে।
সরকার শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা যাতে অনুসরণ করার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সমীক্ষায় বলা হয়, পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা স্থাপনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৯১টি ইটভাটাকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব ইটভাটায় রূপান্তর করা হয়েছে। ইটভাটা স্থাপন আইন যুগোপযোগী করার মাধ্যমে দেশের ৬১ শতাংশ ইটভাটা পরিবেশবান্ধব করা হয়েছে।