Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১১ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পত্নীতলায় কৃষি ঋণ নিয়ে বিপাকে এক শিক্ষক

আব্দুর রশীদ তারেক, নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০১:৩৯, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

পত্নীতলায় কৃষি ঋণ নিয়ে বিপাকে এক শিক্ষক

ছবি : বহুমাত্রিক.কম

নওগাঁ : নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পত্নীতলা শাখা হতে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক শিক্ষক। তিনি উপজেলার পদ্মপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ২০০৬ সালের রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ইউনুছার রহমান।

ঋণের টাকার সুদ মওকুফ ও কিস্তিতে টাকা পরিশোধের সুযোগ চেয়ে ব্যাংক ম্যানেজার ও সার্টিফিকেট অফিসারের নিকট ধর্ণা দিয়ে কোন প্রতিকার হয়নি। বাধ্য হয়ে গত ২০ মার্চ’১৭ বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ করেছেন তিনি।

আবেদন হতে জানা গেছে, পারিবারিক আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে গাভী কেনার জন্য তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম বসতবাড়ির সাড়ে ১৪ শতক জমি বন্ধক রেখে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পতœীতলা শাখা হতে ৫ ডিসেম্বর’১২ তারিখে দেড় লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। প্রতি ছয় মাস পর পর কিস্তীর মাধ্যমে পরবর্তী চার বছরে ঋণের টাকা সুদসহ আগামী ৩০ এপ্রিল’১৭ পরিশোধ করার কথা। গত ১০ মে’ ১৬ সড়ক দূর্ঘটনায় বাম পায়ের হাঁটুর উপরের অংশ পুরোটাই ভেঙ্গে যায়। এতে চিকিৎসার জন্য প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়।

এমনকি চিকিৎসার টাকা যোগাড়ের জন্য ধার-দেনার পাশাপাশি ঋণের টাকায় ক্রয়কৃত গাভিটিও বিক্রয় করতে হয়েছে। এমন অবস্থায় পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগমের নামে সর্বশেষ কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে গত ২১ ডিসেম্বর’১৬ এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি’১৭ মধ্যে ঋণ পরিশোধের তাগাদা প্রদান করে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি’১৭ তিনি ৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় এবং টাকা জমা দেওয়ার জন্য সার্টিফিকেট অফিসার তথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি পত্র লাগবে বলে জানায়। ব্যাংকের কথা মতো তিনি সার্টিফিকেট অফিসারের নিকট গেলে তিনি ৫হাজার টাকা গ্রহণে অসম্মতি জানান।

শিক্ষক ইউনুছার রহমান বলেন, দূর্ঘটনায় স্বীকার হয়ে সন্তানদের পড়ালেখা, ভরণ-পোষণ ও চিকিৎসা করাতে বর্তমানে হিমশীম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকের নিকট ঋণের সুদ মওকুফ ও আসল টাকা মাসিক ৫হাজার টাকার কিস্তিতে পরিশোধের জন্য আবেদন করেছি। এ দুরাবস্থা বিবেচনা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পত্নীতলা শাখার ব্যবস্থাপক কোরবান আলী বলেন, সার্টিফিকেট মামলা হওয়ার পর ব্যাংকের আর কিছু করার থাকে না। বিষয়টি এখন সার্টিফিকেট অফিসারের উপর নির্ভর করছে। সার্টিফিকেট অফিসার যেভাবে সমাধান দিবে আমরা তা মেনে নেবো।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer