ছবি-সংগৃহীত
ঢাকা : দেশের নৌপথে সর্বপ্রথম এবং সর্ববৃহৎ হোমট্রেড ভ্যাসেল যুক্ত করলো মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মেঘনা শিপ বিল্ডার্স এন্ড ডকইয়ার্ড লিমিটেড।
সোনারগাঁওয়ের মেঘনাঘাটস্থ মেঘনা শিল্পপার্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান আনুষ্ঠানিকভাবে এই হোমট্রেড ভ্যাসেল মার্কেন্টাইল-৩১ এর উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান; নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসাইন; নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (BIWTA) এর চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান এ কে এম ফখরুল ইসলাম, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কে.এম. জামান (রুমেল), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আবু নাসের ভূইয়া, স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান এডিশনাল এসপি, নারায়নগঞ্জ ।
উপস্থিত ছিলেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ও পরিচালক তানভীর আহমেদ মোস্তফা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন মেঘনা গ্রুপের এফএমসিজি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আসিফ ইকবাল।
গঞ মার্কেন্টাইল-৩১ মেঘনা শিপ বিল্ডার্স এন্ড ডকইয়ার্ডে নির্মিত সবচেয়ে বড় হোমট্রেড ভ্যাসেল। ২০০৮ সালে স্থাপিত এ শিপ ইয়ার্ড এ কর্মরত আছে ২৭৫ জন দক্ষ জনবল। চীন, জাপান ও জার্মানির আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এ শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ তৈরীর জন্য ব্যবহৃত হয় কোরিয়া, চায়না, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত উন্নতমানের কাঁচামাল।
সাম্প্রতিক সময়ে এই শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়েছে ২,০০০ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ১২টি অয়েল ট্যাঙ্কার যা বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার জ্বালানি তেল পরিবহনের কাজে নিয়োজিত। জাহাজ তৈরী ও মেরামতের জন্য এই শিপ ইয়ার্ডে আছে ২১২ মিটার দৈর্ঘের ২টি স্লিপওয়ে।
ভবিষ্যতে মেঘনা শিপ বিল্ডার্স এন্ড ডকইয়ার্ড লিমিটেড আরো অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন বৃহদায়তনের সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মানের পরিকল্পনা করছে।
MT মার্কেন্টাইল-৩১ হোমট্রেড ভ্যাসেল এর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন “দেশের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে মেঘনা গ্রুপ। বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হচ্ছে দিন দিন। এর ফলে ভবিষ্যতে বৃহদায়তনের সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মানের পথ সুগম হবে।”
অনুষ্ঠানে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, “কম খরচে নদীপথে দেশের গ্রামীণ এলাকায় পণ্য সরবরাহের কার্যকরী মাধ্যম হিসাবে মেঘনা গ্রুপের জাহাজ শিল্প তার ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করে তুলেছে। ২৭৫ জনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল এই শিল্পের উন্নয়নে নিয়োজিত। যারা আগামীতে ১৫,০০০ মে.টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ তৈরীতে সক্ষম হবেন যাতে করে এই শিল্পে ৭৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করা সম্ভব হবে। বিদ্যমান শিপইয়ার্ডকে আধুনিকায়নই নয়, নদীর অপর পাড়ে কিংবা মেঘনা সেতুর ভাটিতে আরও একটি বৃহদাকার অত্যাধুনিক শিপইয়ার্ড স্থাপনের পরিকল্পনা আমাদের আছে।”