ছবি-সংগৃহীত
কুড়িগ্রাম : রৌমারীতে খাদ্যবান্ধবের ডিলারদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন বলেছেন, ‘৫টা নোট দিলেই আর সাংবাদিকরা লেখেন না। না দিলেই উল্টাপাল্টা রিপোর্ট করেন। আপনারা দূর্নীতি করবেন না সাংবাদিকদের টাকাও দিতে হবেনা।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রৌমারী উপজেলা হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক আবুল হাশেম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা রাব্বি রিপা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান, ৬ ইউনিয়নের ৬ ইউপি চেয়ারম্যান ও ২৭ জন ডিলার। এসময় ওই মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি তালিকায় শতকরা ৫০টি নামই ভুল রয়েছে। স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নাম রয়েছে এটা ঠিক। চেয়ারম্যান, মেম্বাররা আমাদের দেয়া নামও রাখেনি। এ নিয়ে সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু তার বক্তব্যে বলেন, আমরা এর আগে সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি। তাই নামের তালিকায় ভুল থাকাটা স্বাভাবিক। পরে স্বচ্ছ তালিকা তৈরির জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের আবেদন করেন তিনি।
এদিকে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের ঢুকতে না দেয়া ও বিরূপ মন্তব্য করায় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রৌমারী প্রেস ক্লাব তাৎক্ষতিক এক জরুরি বৈঠকে জেলা প্রশাসকের এ মন্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
সাংবাদিকরা ওই বৈঠকে বলেন, খাদ্যবান্ধবের অনিয়ম ও দূর্নীতির চিত্র দেশের বেশ ক’টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে প্রশাসনের টনক নড়ে। দূর্নীতির বিষয়টি গোপনে তদন্ত করে আবার দূর্নীতিবাজদের পক্ষে সাফাই গেয়ে জেলা প্রশাসক পরোক্ষভাবে দূর্নীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
বহুমাত্রিক.কম