ঢাকা : বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ভারতে যুক্ত হতে চায় না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন-ডিকাব আয়োজিত `ডিকাব টক` অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশে যেকোনো রাজনৈতিক বাস্তবতায় এদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই সম্পর্ক চায় ভারত। আর এই সম্পর্কের ভিত্তি হলো পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্বার্থ সুরক্ষা। এটা অবশ্যই দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, তিস্তা চুক্তি কবে কীভাবে হবে সেটা বলতে পারছি না। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই চুক্তি হবে। বর্তমানে শুষ্ক মওসুমে তিস্তায় ১৮০০ কিউসেক পানি বাংলাদেশে আসছে। এই পরিমাণ পানি চুক্তির চেয়েও অনেক বেশি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শুধু ভৌগোলিকভাবে চার হাজার কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে এমন নয়, বরং দুই দেশের রয়েছে অভিন্ন ইতিহাস, সভ্যতার বন্ধন। আমরা একই গঙ্গা সভ্যতার অধিবাসী। আমরা একই নদীর অভিন্ন স্রোতধারাকে শেয়ার করি।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি সমঝোতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। উভয় দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রসীমা নির্ধারণে সম্মত হয়েছি। সমুদ্রে বাংলাদেশ মহীসোপানও পেয়েছে। আমরা উভয়েই খুশি যে সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন ব্লু ইকোনমি ক্ষেত্রে আমরা একযোগে কাজ করব।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, টিপাইমুখ নিয়ে খুব উদ্বেগ ছিল। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়েছে। সেখানে একটি ইটও বসানো হয়নি। বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া নদীসংযোগ প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হবে না ভারত।
সীমান্ত হত্যার ইস্যুতে শ্রিংলা বলেন, ফেলানি নিহতের মতো দুঃখজনক ঘটনা সীমান্তে ঘটেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে বিএসএফ অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনেছে। সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে।
ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।
বহুমাত্রিক.কম