ঢাকা : প্রধান (সিইসি) নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত বলেছেন, রাষ্ট্রপতি ইসি নিয়োগ দিতে পারেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচজনের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইননজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রিট করেন হাইকোর্টে। রিটে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্রজ্ঞাপন (নিয়োগ) বাতিল, সঙ্গে সঙ্গে শপথ গ্রহণের বিষয়টি স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
রিটে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া পাবলিক সার্ভেন্ট রিটায়ারম্যান্ট অ্যাক্ট- ১৯৭৪ সালের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, যে প্রক্রিয়ায় এদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সেটা বৈধ হয়নি। কারণ, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, আইন তৈরি করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিবেন। সেই আইন তৈরি না করে ইসি নিয়োগ দেয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রিটে কেবিনেট সচিব, আইন সচিব, প্রধান নিরবাচন কিশনার সহ সংশ্লিষ্ট আট জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে রিটে public Servant (Retirment) Act,১৯৭৪ সালের ধারা ৫(২)(৩)কেন অবৈধ এবং সংবিধানের ৭,১৯, ২৬-২৯,৩১,৩২,৪০,১৩৫ অনুচ্ছেদ সাংঘর্ষিক বলে তা কেন (রিটায়ারমেন্ট)অ্যাক্ট ১৯৭৪ এর ৫(১) বাতিল ঘোষণা করা হবে না তার রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চার কমিশনার নিয়োগ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়।
সম্প্রতি কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।অন্য কমিশনাররা হলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের শপথ গ্রহণের কথা রয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম