ঢাকা : মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ১৩৫ কি. মি. বেগে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় মোরা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্থলভাগে নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে।
এর ফলে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ১০০ থেকে ১২৮ কি. মি. পর্যন্ত বেগে বয়ে যাচ্ছে প্রবল ঝড়ো হাওয়া।
১২ ঘণ্টা পর্যন্ত আবহাওয়ার এ বৈরী অবস্থা বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এরপর এটি ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাওয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থান বিষয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ঘূর্ণিঝড়টি এখন বয়ে যাচ্ছে। এটি ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে বাংলাদেশের স্থলভাগের অভ্যন্তরে দুর্বল হয়ে পড়বে। তবে ঘূণিঝড়টি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ নম্বর পুনঃ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৮ নম্বর পুনঃ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম