ছবি-বহুমাত্রিক.কম
খুলনা : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জিং পেশায় অংশগ্রহণ করছে। বর্তমানে চাকুরির ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে, সেখানে প্রতিটি নারীর হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করতে হবে।
তিনি রোববার নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো: আবদুস সামাদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শাহনওয়াজ দিলরুবা খান, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবির ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফেরদোসী বেগম। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. ফারুক হোসেন।
অনুষ্ঠানে সমাজের পাঁচটি ক্যাটাগরিতে সাফল্য অর্জনকারী নারীদের মধ্যে থেকে খুলনা বিভাগের নির্বাচিত পাঁচজন শ্রেষ্ঠ ‘জয়িতা’সহ মোট ৫২জন ‘জয়িতা’কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিভাগীয় পর্যায়ে পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী’ যশোরের লতিফা শওকত রূপা, ‘শিক্ষা ও চাকুরীক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী’ খুলনার আনোয়ারা খাতুন, ‘সফল জননী নারী’ যশোরের মোছা: রাশিদা বেগম, ‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী’ বাগেরহাটের রাজিয়া বেগম এবং ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায়’ খুলনার এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস।
সচিব বলেন, জয়িতা সম্মাননা অনুষ্ঠান প্রথম চালু হয় ২০১১ সালে। এটি চালু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নারীরা যাতে রাষ্ট্র এবং সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারে এবং তাদের অধিকার সুন্দরভাবে পেতে পারে এই লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে। এসডিজি-এর ১৭টি গোলের মধ্যে ৭ নম্বর গোলে নারীদের অধিকার সংরক্ষিত।
তিনি জানান, আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ টি বিভাগ থেকে ৫ টি ক্যাটাগরিতে ৫ জন জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করবেন। একমাত্র বাংলাদেশেই জয়িতাদের নিয়ে কার্যক্রম রয়েছে। সমাজের সর্বক্ষেত্রে অসাম্য দূর করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নারীদের জন্য সরকারের রয়েছে বিশেষ বিশেষ কর্মসূচি। বর্তমানে সচিব পদে ৭ জন নারী কর্মরত রয়েছেন।
বহুমাত্রিক.কম