ঢাকা : ফিলিস্তিনে স্থানীয় নির্বাচনে বিভিন্ন প্রকাশনায় মহিলা প্রার্থীদের আসল নাম না বলে তাদের যেভাবে `অমুকের বোন..` বা `তমুকের স্ত্রী.. হিসেবে উল্লেখ করা হয় তা নিয়ে অনলাইনে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে সে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখন তা সংশোধনের সুযোগ পাচ্ছে।
প্রথম এ নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয় আগস্ট মাসে - যখন কিছু মহিলা প্রার্থী যেভাবে তাদের নাম কাগজপত্রে ছাপা হচ্ছে - তা নিয়ে আপত্তি তুলে টুইট করা শুরু করেন।
পশ্চিম তীর ও গাজায় অক্টোবর মাসে ওই ভোট হবার কথা ছিল। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকাশনা বা কাগজপত্রে দেখা যায় নারী প্রার্থীদের নাম না উল্লেখ করে তাদের পরিচয় দেয়া হচ্ছে `অমুকের বোন..` বা `অমুকের স্ত্রী..` অথবা শুধু নামের আদ্যাক্ষরটুকু মাত্র দিয়ে ।
টুইটারেএর পর ওই প্রার্থীরা দাবি তোলেন তাদের নাম যেন যথাযথভাবে এবং পুরোপুরি লেখা হয়। তারা একটি হ্যাশট্যাগ চালু করেন যার অর্থ দাঁড়ায় `আমাদের নাম লজ্জাজনক কিছু নয়`।
মধ্যপ্রাচ্যের একটি সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট আল-মনিটর বলছে, শুধু ভোটের কাগজে নয় অনেক সময় বিয়ের দাওয়াতেও নববধূর নাম দেয়া হয় না।
হামাস পরিচালিত আলআকসা টিভি চ্যানেলের একজন উপস্থাপক আমল হাবিব বলেন, এটা লজ্জাজনক ব্যাপার যে এই সংস্কৃতি কীভাবে চলতে পারছে। মেয়েদের পরিচয় তাদের নাম দিয়েই দেয়া উচিত।
তবে এটা নিয়ে ফেসবুক ও টুইটারে সমালোচনা শুরু হবার পর অনেক ফিলিস্তিনি নারীই অনলাইনে তাদের মা, বোন, খালা বা নানী-দাদীদের নাম প্রকাশ করছেন- শুধু এই বার্তাটি পৌঁছে দিতে।
শুধু মেয়েরা নয়, অনেক পুরুষও একে সমর্থন দিচ্ছেন। তারা তাদের মা, বোন, স্ত্রী এবং মেয়েদের নাম উল্লেখ করে পোস্ট দিচ্ছেন যে `আমরা তাদের জন্য গর্বিত।`
বিবিসি বাংলা’র প্রতিবেদন