ঢাকা : ঘুমাতে গেলে নাক ডাকা খুব বিড়ম্বনায় ফেলার মত একটি সমস্যা। শরীরে কিছু সমস্যার কারণে ঘুমালে নাক ডাকা চলে আসে। এর ফলে পাশে থাকা মানুষটি খুব অসস্তিত্বে ভোগে। শুধু যে পাশের লোকটি সমস্যায় পড়ে তাও নয় নিজের কাছেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। আর বন্ধু মহলে এ নিয়ে লজ্জাও পেতে হয়। তবে কিছু খাবার খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১. নিয়মিত আদা চা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে ন্যাজাল ক্যাভিটি খুলতে শুরু করে। ফলে নাক ডাকার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
২. নিয়মিত ১-২টি রসুনের কোয়া চিবিয়ে, এক গ্লাস পানি খেয়ে শুতে যেতে হবে। তাহলেই দেখবেন নাক ডাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
৩. নাক ডাকার সমস্যা কমাতে ঘিয়ের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে
৪. অল্প পরিমাণ ঘি গরম করে তার থেকে ২-৩ ড্রপ করে নিয়ে যদি নিয়মিত নাকে দেয়া যায়, তাহলে নাক ডাকা থামতে একেবারেই সময় লাগে না। ঘিয়ে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান নাকের ভেতরে বায়ু-চলাচলের পথকে খোলা রাখতে সাহায্য করে। ফলে নাক ডাকার প্রবণতা একেবারে কমে যায়।
৫. ঘুমানোর আগে নিয়মিত এলাচ চা খেলে দারুণ উপকার মেলে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত একাধিক উপাকারী উপাদান নাকের ভিতরের বাঁধা সরিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৬. ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে যদি এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে নাকা ডাকার সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগই পাবে না। কারণ মধুতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান গলার প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করে তোলে। অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে পরিপূর্ণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে শরীরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেইসঙ্গে কমে নাক ডাকার প্রবণতাও। এক্ষেত্রে প্রতিদিন শুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস গরম দুধে ২ চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পান করার অভ্যাস করতে হবে। নাক ডাকা বন্ধ হবে।