ঢাকা : নদী রক্ষায় দৃঢ় শপথ গ্রহণ এবং পুরান ঢাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ ও এই নদীসহ হারিয়ে যাওয়া নদীগুলোর কাছে প্রতীকী ক্ষমা চাওয়ার মধ্যদিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় শুক্রবার বিশ্ব নদী দিবস পালিত হয়।
‘অঙ্গীকার বাংলাদেশ’ ও ‘অনির্বাণ-৭১’ নামে পৃথক দ’ুটি সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার বেলা ১১টায় বুড়িগঙ্গা সেতুর ওপর সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীরা দূষণ ও দখলে নূব্জ্য নদীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
এছাড়া এ দিবস উপলক্ষে বুড়িঙ্গা নদীর পানিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে নদী রক্ষা ও নদী দূষণ এবং দখলের সাথে জড়িতদের প্রতিহত করতে দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে ‘অঙ্গীকার বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পৃথিবী জুড়ে হাজার হাজার বছর ধরে যে নদী মানবসভ্যতা গড়ে তোলার জন্য অবিরত অবদান রেখে চলেছে, সেই নদীর সঙ্গে মানবজাতি অবিবেচক, অকৃতজ্ঞ ও নিষ্ঠুর আচরণ করে চলেছে।
লোভী মানুষের দখলাভিযান, শিল্পায়ন ও কৃষি ক্ষেত্রে কীটনাশকের ভয়ংকর দূষণ এবং নদী প্রবাহে নানা ধরনের কৃত্রিম বাধা সৃষ্টির মধ্যদিয়ে নদ-নদীসমূহকে হত্যার আয়োজনে এক দল লোভী মানূষ প্রতিনিয়ত মত্ত থাকছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, অঙ্গীকার বাংলাদেশ’র সভাপতি প্রকৌশলী মুহম্মদ হিলালউদ্দিন, মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্টের ট্রেজারার কামরুজ্জামান ননী, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আনিস আহামেদ, জাপানের ফটো সাংবাদিক খন্দকার আনিসুর রহমান, অনির্বাণ ৭১-এর ইফতেখার পাভেল, অনিন্দ্য প্রমুখ ক্ষমা প্রার্থনা অনুষ্ঠান ও পুষ্পাঞ্জলি নিবেদনে অংশগ্রহণ করেন ।
এছাড়া, ঢাকার বাইরে বৃহত্তর সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারা, ভৈরবে মেঘনা, নড়াইলে চিত্রা, মধুমতি, নবগঙ্গা, গোপালগঞ্জে মধুমতি, মানিকগঞ্জে কলিগঙ্গা, রাজশাহীতে পদ্মা, কুড়িগ্রামের ধরলা, ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র, জামালপুরের ঝিনাই প্রভৃতি নদীতে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।