ছবি-সংগৃহীত
যশোর : বছরের প্রথমদিন বই উৎসবে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ কথা থাকলেও তা শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নি।
যশোরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ বই এখনও পৌছায়নি। ফলে বই উৎস পালিত হলেও অনেকেই বই পায়নি। উৎসবের দিনে কমলমতি শিক্ষার্থীদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বাড়িতে। বই না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরেছে তারা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অভিভাবকরাও।
তৃতীয় শ্রেণীর কোন বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে আসেনি বলে জানা গেছে। এ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে এ বই উৎসবের সূচনা করেন। এরপর তিনি চৌগাছা উপজেলার আরো কয়েকটি স্কুলের বই উৎসবে অংশ নেন। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনওরা বই উৎসবের উদ্বোধন করেছেন।
যশোর জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪৪ পিস এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫৯ লাখ ৬৬ হাজার ২ শত ৮২পিস বইয়ের চাহিদা ছিল। এ মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর কোন বই দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। বই না আসায় শিক্ষকরা তাদের হাতে উৎসবের দিনে বই দিতে পারিনি। যশোর জেলায় তৃতীয় শ্রেণী মোট বইয়ের চাহিদা চার লাখ ৫ হাজার ৭৬৬ পিস। এ ছাড়া চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ধর্ম বই এখনও আসেনি। তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী তপন, আরিফুল,আকবার বলেন সবাইকে বই দিলেও আমাদের শ্রেণীর কাউকে নতুন বই দেয়া হয়নি। দাদু-মা- খালাকে সঙ্গে নিয়ে বই নিতে এসে খালি হাতে ফিরছে হচ্ছে।
অভিভাবক আলী কদর বলেন , বই না পেয়ে ছেলে হতাশ হয়েছে। কবে নাগাদ তাদের হাতে বই দেয়া হবে তাও জানাতে পারছে না শিক্ষাকরা।
যশোরের চৌগাছা ও বাঘারপাড়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন ও বাঘারপাড়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোশারফ হোসেন বলেন, তৃতীয় শ্রেণীর কোন বই এখনও আসেনি। এছাড়া চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ধর্ম বই পাওয়া যায়নি। জেলা মধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিনূর ইসলাম টুকু বলেন, মধ্যামিক স্তরের শত ভাগ বই বিতরণ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ বই এখনও আসেনি এ বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার অধিকারী নিশ্চিত করেনে।
তিনি বলেন, খুব দ্রুত বই পেয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা। তবে বই উৎসবের দিন যশোরের সদর উপজেলার তৃতীয় শেণীর শিক্ষার্থীদেও হাতে বই দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
বহুমাত্রিক.কম