ঢাকা: জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, নতুন করে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার সংলগ্ন সীমান্তে চারদিন ধরে আটকে থাকার পর বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ১৯ অক্টোবর রাতে দেয়া বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র দুনিয়া আসলাম খান শুক্রবার জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংএ জানান, কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী আঞ্জুমান পারা গ্রামের মধ্য দিয়ে ছয় হাজার ৮শ’র বেশি রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে।’
নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্থদের সীমান্ত থেকে বাসে করে কুতুপালং শিবিরের কাছের একটি ট্রানজিট কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
কেন্দ্রটিতে ইউএনএইচসিআর ও এর অংশীদাররা খাবার, পানি, চিকিৎসা সেবা ও অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে। নতুন আসা অন্যান্য রোহিঙ্গারা পায়ে হেঁটেই কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছে। তারা সেখানকার অবকাঠামো ও ভবনগুলোতেই রাত কাটায়।
আসলাম খান বলেন, ‘ইউএনএইচসিআর ও এর অংশীদাররা বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কুতুপালংয়ের আশ্রয় শিবির সম্প্রসারণে কাজ অব্যহত রাখবে। আরো অধিকসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য অবকাঠামো নির্মাণ পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এছাড়া নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনের জন্য গভীর নলকূপ ও শৌচাগার নির্মাণ করা হচ্ছে।’
এ পর্যন্ত দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬শ’ ছয় জনের বেশি রোহিঙ্গা কুতুপালং আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছে। আরো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য শিবিরটির সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের এই নাগরিকদের দেশটির সেনাবাহিনী জোরপূর্বক তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আশা করছি জেনেভায় ২৩ অক্টোবর রোহিঙ্গা সংকটের ওপর অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে সময়মত ও যথেষ্ট পরিমাণ সহায়তা পাওয়া যাবে। রোহিঙ্গাদের জন্য যৌথভাবে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে ৪৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এই অর্থদিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য জীবনরক্ষাকারী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও সরঞ্জামাদি ক্রয় করা হবে।
ইউএনএইচসিআর-এর পরিকল্পনার একটি অংশের মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ অতিরিক্ত ৮ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার সংগহ করা।’