নওগাঁ : ঝড়-বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন কিছুটা কম হচ্ছে বলে দাবি করেছেন নওগাঁর ইরি-বোরো চাষিরা। এ কারণে ভরা মৌসুমেও ধানের দাম খুব একটা কমছে না বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ধানের বর্তমান বাজার মুল্যে খুশি জেলার ইরিবোরো চাষিরা।
বর্তমানে জেলার হাট বাজারে মোটা জাতের ধান ৭”শ ৭০ থেকে ৮’শ টাকা এবং চিকন জাতের ধান সাড়ে ৮শ’ থেকে ৯’শ টাকা দরে কেনা বেচা চলছে। গত বছর এই সময়ে বোরো ধানের দর ছিলো ৬শ’ থেকে সাড়ে ৬শ’ টাকা এবং চিকন জাতের ধান সাড়ে ৭শ’ থেকে কে ৮শ’ টাকা।
চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন সরকার প্রতি কেজি ধান ২৪ টাকায় গুদামে ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় কৃষকরা কিছুটা হলেও লাভবান হবেন। তবে ৩৪ টাকা কেজি দরে গুদামে চাল সরবরাহ করা চালকল মালিকদের অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ সে ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চালে চাল ব্যবসায়ীদের ৪/৫ টাকা লোকশান গুণতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে মোটা ও চিকন ধানের আলাদা মুল্য নির্ধারণ সহ চালের ক্রয়মুল্য মুল্য কমপক্ষে ৩৮ টাকা নির্ধারণের দাবি করেছেন নওগাঁর চাল কল মালিকরা। অন্যথায় জেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।
তবে জেলার খাদ্য কর্মকর্তারা বলছেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। হাট বাজারে গত বছরের চেয়ে এ বছর মোটা ও চিকন ধানের মুল্য দেড় থেকে ২’শ টাকা বেড়েছে।
জেলার ১৯টি সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে আজ পর্যন্ত ধান ক্রয় শুরু হয়নি। বর্তমানে চঅরকল মালিকদের সাথে চুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। আগামী মে সাসের মাঝামাঝি সময়ে ত্রয় অভিযান শুরু হবে। জেলায় এ বছর ৪২ হাজার ২শ’ ৫০ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় এবার ১লাখ ৮৯হাজার হেক্টর জমিতে ইরিবোরো চাষ হয়েছে । বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি উপকরণ পেতে সমস্যা না হলেও ও ঝড়বৃষ্টির কারণে বোরো ধানের ফলন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, ঝড়বৃষ্টির কারনে এবারে ফলন কম হয়েছে। সাবেক সভাপতি- নওগাঁ জেলা রাইচ মিল মালিক গ্রুপ ও ধান চাল ব্যবসায়ী মো: তৌফিকুল ইসলাম বাবু জানান, বর্তমান বাজার মুল্যে কৃষকরা লাববান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে চাল সরবরাহের জন্য গুদামের সাথে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা।
অতিরিক্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: মোহাজের হোসেন জানান, হাসান ধান চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারি সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে।
বহুমাত্রিক.কম