প্রতীকী ছবি
যশোর : যশোরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী এক কিশোরী লজ্জা-ঘৃণা আর অপমানে রোববার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন, জন্মদাতা পিতা তাকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। আজ সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে লম্পট সায়েমকে মারপিট করে বেধে রাখে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। একই সাথে পুলিশ নিহতের মা ও বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে এসেছে। নিহত কাজলি খাতুন শহরের বকচর হুশতলা কবরস্থানের পাশে মাঠপাড়ার ইজিবাইক চালক সায়েমের মেয়ে।
নিহত কাজলীর চাচি বিলকিস বেগম বলেন, ‘আমরা একই বাড়িতে থাকি। কাজলি খাতুন বকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো। আগে পরে বহুবার শুনেছি, আমার দেবর সায়েম হোসেন তার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছে।’
নিহতের ছোট বোন সুমাইয়া বলেন, ‘‘আমরা তিন বোন। কাজলি বড়। ছোটবোনের নাম রুকাইয়া। আজ (রোববার) সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় কাজলি আমাকে বলে, ‘সুমাইয়া-তুই স্কুলে যাস নে। বাড়িতে কেউ নেই। আব্বা আমার গায়ে হাত দেবেনে। আমার আব্বাই কাজলিকে হত্যা করেছে’। এসময় সে তার বাবাকে অশøীলভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
যশোর পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলার আজিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় সবাই বলেছেন, ইজিবাইক চালক সায়েম মাদকাসক্ত। সে দীর্ঘদিন ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছে। এ কারণে স্কুল ছাত্রী কাজলি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।
স্থানীয় প্রতিবেশি মোবারক হোসেন, মহসিন হোসেন ও শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সায়েম তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে কাজলিকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছে। একবার ওই মেয়েটি গর্ভবর্তীও হয়েছিল। কয়েকমাস আগে এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে শালিস-বিচারও হয়েছে। পুলিশ কাজলির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
কোতয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, ‘ বকচর এলাকায় স্থানীয় লোকজন সায়েম নামে এক ব্যক্তিকে মারপিট করে পুলিশের হাতে সোপার্দ করেছে। নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়রা তাকে মারপিট করেছে বলে জানতে পেরেছি। সায়েমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কেউ অভিযোগ দেয়নি।’
বহুমাত্রিক.কম