ঢাকা : বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মানব কঙ্কাল নিয়ে রমরমা বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং কবরস্থান কেন্দ্রিক একাধিক চক্র মূলত এই কঙ্কাল বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কারা কঙ্কাল পাচারের সাথে জড়িত?
লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় মেডিকেল কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্মচারী এমনকি শিক্ষার্থীরাও এতে জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের।
সম্প্রতি ঢাকা, টাঙ্গাইল ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মাঝে মধ্যে কেউ ধরা পড়লেও মূল হোতারা থেকে যায় ধোরাছোঁয়ার বাইরে।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার কোতোয়ালী থানার এসআই নাজিম উদ্দিন জানান, এই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা মূলত কবর থেকে অবৈধভাবে লাশ উত্তোলন এবং হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশগুলো অবৈধ উপায়ে খালাস করার মাধ্যমে কঙ্কাল সংগ্রহ করে।
তারা রাসায়নিকের মাধ্যমে মাংস থেকে হাড় আলাদা করে কঙ্কালগুলো মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কাছে মোটা অঙ্কে বিক্রি করে বলে জানান এসআই নাজিম।
মেডিকেল শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সাধারণত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা কঙ্কালগুলো নতুন শিক্ষার্থীরা কিনে নিয়ে ব্যবহার করে।
বেশিরভাগ সেই পুরনো কঙ্কাল দিয়ে কাজ সারলেও অনেক শিক্ষার্থী মেডিকেলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর মাধ্যমে নতুন কঙ্কাল কিনে থাকেন।