ঢাকা : বাংলাদেশ উন্নত দেশসমূহ বিশেষ করে জি-৭-এর প্রতি মহাসাগর দূষণ প্রতিরোধে প্রত্যাশিত অর্থায়ন এবং অর্থায়নের নতুন নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) সমুদ্র ও অন্যান্য প্রযুক্তির অর্থবহ হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসমুদ্র সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র ইউনিট) খুরশিদ আলম বলেন, ‘মহাসমুদ্রগুলোর অব্যাহত দূষণ এবং সমুদ্র সম্পদের অনিরাপদ অনুসন্ধান ও মহাসমুদ্রের উষ্ণায়নে (এলডিসি) মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। যদিও এই ক্ষয়-ক্ষতিতে আমাদের দায় সামান্যই।’
নিউইয়র্ক থেকে আজ এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, এই উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের মূল অধিবেশনে এলডিসি গ্রুপের তরফে বক্তৃতাকালে খুরশিদ আলম খাদ্য, জীবিকা, বিশ্বে জলবায়ু নিয়ন্ত্রনের অন্যতম প্রধান জায়গা হিসাবে মানবজাতির কাছে মহাসমুদ্রের গুরুত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, জীবন ধারণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য স্বাস্থ্যকর মহাসাগর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কথা এলডিসির জন্য আরো প্রযোজ্য।
তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে মহাসমুদ্র, সমুদ্র ও সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারের জন্য কথা থেকে বেরিয়ে এসে কাজে নেমে পড়ার এটাই সময়।’
গত ৫ জুন এই সপ্তাহব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে ১৪টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব এ্যান্টনিও গুতেরেস এবং সাধারণ পরিষদের সভাপতি পিটার থম্পসন উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতা করেন। আগামীকাল এই সম্মেলন শেষ হবে।