ঢাকা : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় দুর্যোগের আগাম বার্তা সরাসরি জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম এ মালেকের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইন্টারেক্টিভ ভয়েস রেসপন্স (আইভিআর) প্রযুক্তি দ্বারা সকল মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে প্রচারের এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এসএমএস-এর মাধ্যমে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত এবং করণীয় বিষয়ে বার্তা মোবাইল ফোনে জেলা,্ উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে পাঠানো হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে সকল জেলা ও উপজেলার সাথে অনলাইন-এ দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সকল তথ্য আদান-প্রদান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বন্যা প্রবণ এলাকায় ৪২০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় ৩ হাজার ৮৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে এবং আরো ২২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকার মানুষকে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সতর্ক বার্তা প্রচারের জন্য ৩৫টি উপজেলায় ৩৫টি মেগাফোন সাইরেন স্থাপন করা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য ১২টি পিক-আপ ভ্যান ক্রয় করে সিডর বিধ্বস্ত ১২টি জেলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য ৬টি ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্স বোট ক্রয় করা হয়েছে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ভূমিকম্প থেকে রক্ষার্থে সরকার ইতোমধ্যে ভূমিকম্পে উদ্ধার ও অনুসন্ধান কাজে ব্যবহারের জন্য প্রায় ৬৩ কোটি টাকার আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, সিটি কর্পোরেশন ও কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া ১৫৩ কোটি ৫২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে রেসকিউ ভেহিকেল পিক আপ, রিচার্জেবল সার্চ লাইট, ফোল্ডেবল স্ট্রেচার, বডি ব্যাগ, ফেইস বা গ্যাস মাস্ক, রেসকিউ ইক্যুইপমেন্ট ফর ভলান্টিয়ার্স ও সার্চ ক্যামেরা ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।