ঢাকা : তুরস্ক কর্তৃপক্ষ দুই মাস আটক রাখার পর এক মার্কিন মুসলিম নারী সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে। তিনি সিরিয়া থেকে পালিয়ে তুরস্কে যান। সিরিয়ায় জিহাদিরা তাকে অপহরণ করেছিল বলে তিনি দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।
লিন্ডসেই স্নেল নামের ওই সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
সিরিয়া থেকে তুরস্কে যাওয়ার পর ৬ আগস্ট ‘একটি সামরিক অঞ্চল লংঘন’ করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, বিমান হামলায় বেসামরিক মানুষের ক্ষয়-ক্ষতির চিত্র ভিডিও করার জন্যই তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে গিয়েছিলেন।
লিন্ডসেই তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের সম্পর্কে লেখেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ডেটোনা বিচের বাসিন্দা। তিনি ২০০৫ সালে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ¯œাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি একজন মুসলিম। ফেসবুকে তার ছবিগুলোতে তাকে হিজাব পরা অবস্থায় দেখা গেছে।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিষয়ক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট লিন্ডসেইর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংগঠনটির মুখপাত্র নিনা ওগনিয়ানোভা বলেন, ‘লিন্ডসেই ¯েœলের মুক্তি একটি স্বস্তির বিষয়। কিন্তু এখনও বহু সাংবাদিক তুরস্কের কারাগারে বন্দি রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, তুরস্কের পুলিশ ইস্তাম্বুলে ¯েœলের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে তার একটি ভিডিও ক্যামেরা, কম্পিউটার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ¯েœলের জব্দকৃত সরঞ্জামাদি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এবং যেসব সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জেলখানায় আটক রয়েছেন তাদের সকলকে মুক্তি দেয়ার জন্য তুরস্ক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
¯েœল গ্রেফতার হওয়ার আগে টুইটারে লিখেন, আল নুসরা ফ্রন্টের জিহাদিরা তাকে অপহরণ করে ১০ দিন জিম্মি করে রাখে। এরপর তিনি একজন সাহসী লোকের সহায়তায় মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।