ছবি: পিআইডি
ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কের নাম শহীদ ডা. মিলনের নামে নামকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কের নাম মিলনের নামে নামকরণ করা হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্য এই নামকরণের উদ্বোধন করা হবে।
নাসিম রোববার শহীদ ডা. মিলনের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মিলনের সমাধিস্থলে বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যসসিয়েসান (বিএমএ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ডা. শামসুল আলম খান মিলন ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঘাতকদের হাতে শহীদ হন।
বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, শহীদ মিলনের মা সেলিনা আক্তার, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. উত্তম বড়–য়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নীতিমালার বাহিরে থাকা সকল মেডিকেল কলেজ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নীতিমালার সাথে মিল না থাকায় ইতোমধ্যে কয়েকটি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হয়েছে। আরও তদন্ত করা হচ্ছে, যেগুলো নীতিমালার সাথে মিল না পাওয়া যাবে সেগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির প্রস্তাব প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপ্রতির। এর আগে যেভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে এবারও সেইভাবেই কমিশন গঠন হবে। যারা মাগুরা মার্কা নির্বাচন করে নির্বাচনকে কুলষিত করেছে তারা কি ভাবে কমিশন গঠন নিয়ে কথা বলেন ?
শহীদ মিলনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মিলনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছিল। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে মিলনের আত্মহুতি, তা বাস্তবায়ন করতে হলে সকল বিভেদ ভুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
শহীদ মিলনের মা সেলিনা আকতার বলেন, ২৬ বছর পার হয়ে গেলেও মিলনের খুনি স্বৈরাচার এরশাদের বিচার হয়নি। বরং সরকারে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করছে। তিনি অবিলম্বে মিলন হত্যার বিচার দাবি করেন।