ফাইল ছবি
ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে চড়া মূল্যে ইন্টারনেট বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে হলটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের। তাঁরা উপযুক্ত ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।
হল সূত্রে জানা যায়, গত মাসে হলে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইনোবিন’কে হলটিতে ফ্রি সংযোগ (ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষে) বৃদ্ধি ও মাসিক চাঁদা দেওয়ার দাবি করে শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। এ নিয়ে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাদের মনোমালিন্য হয়।
একপর্যায়ে গত ১৮ জানুয়ারি রাতে হল ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় রফিক ভবনের চতুর্থ তলায় থাকা সংযোগটির স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। এর ফলে ২০ দিন বন্ধ থাকে হলের ইন্টারনেট সেবা। এ নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলটির একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ইনোবিনের সংযোগটি পুনরায় চালু করতে ছাত্রলীগ পরোক্ষভাবে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। আগের সংযোগটিকেই পুনরায় পেতে এখন রেজিস্ট্রেশনের নামে শিক্ষার্থীদের গচ্চা দিতে হচ্ছে বাড়তি পাঁচশ টাকা এবং সংযোগ প্রতি আগের থেকে মাসিক বিল দুইশ টাকা বেশি।