ঢাকা : ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ হওয়ার পর জাতীয় দলের সাদা জার্সি আবারও গায়ে জড়ানোর প্রত্যাশার কথা বলেছিলেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। জানিয়েছিলেন, দল যদি চায় তাহলে সামর্থ্যর সবটুকু দিয়ে তিনি চেষ্টা করবেন। ইনজুরিতে পড়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে একপ্রকার নির্বাসিত ২০০৯ সাল থেকে।
এরপর আর ফেরা হয়নি, কখনো ফিরতেও চাননি ম্যাশ। এবার ফিরতে চাইলেও, সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দেন বিসিবি বস। তার মতে, মাশরাফিকে আর বেশ কিছুদিন বাংলাদেশের দরকার তাই টেস্টে তাকে খেলানোটা কঠিন।
তবে মাশরাফির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ডেভিড ইয়াং। শুধু নামে হয়তো তাকে চেনানো যাবেনা। তবে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অতি আপন একজন। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত যতবার ইনজুরিতে পড়েছেন, মাশরাফি দ্বারস্থ হয়েছেন ইয়াংয়ের।
বলা যায়, মাশরাফির বারবার ফিরে আসা, আজকের ক্যাপ্টেন ম্যাশ হয়ে ওঠার পিছনের ব্যক্তিটি হচ্ছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। এবার তার সার্টিফিকেট, টেস্ট খেলার মতো ফিটনেস আছে মাশরাফির।
ডেভিড ইয়াং বলেন, `মাশরাফি একজন পেশাদার এবং নিবেদিত প্রাণ অ্যাথলেট। বিশেষ করে সে খেলাটাকে যেভাবে ভালোবাসে তাতে তার পক্ষেই সম্ভব খেলার জন্য নিজেকে সুস্থ করে তোলা। আমার মনে হয় টেস্ট খেলার জন্য এই মুহূর্তে সে পুরোপুরি ফিট।`
শুধু মাশরাফি ক্যারিয়ারে যতবার হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েছে ততো বারই এই অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক সুস্থ করে তুলেছেন। মাশরাফি তাই ইয়াংয়ের অবদান স্বীকার করেছেন অকপটে। জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে কতোটা আপন তিনি। কারণ শুধু যে মাশরাফিকে-ই না চিকিৎসা সেবা দিয়েছে জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারকে।
পর্দার আড়ালে কিছু মানুষ থেকে যান। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায়ই সূচনা হয় নতুন কিছুর। ডেভিড ইয়াংদের মতো পরবাসী এমন একজনকে নিশ্চয়ই মনে রাখবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।