ঢাকা : রূপালী পর্দায় টলিউড অভিনেত্রীদের অভিনয়ের দক্ষতা সবাই দেখা। রূপে-গুণে সব দিক দিয়েই এগিয়ে ওই অভিনেত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে ফ্যানদের জানা আগ্রহ নেহাত কম নয়। তাহলে চলুন জেনে নেই টলিউড অভিনেত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কার কতখানি।
মিমি চক্রবর্তী: মিমি ক্যারিয়ার শুরু হয় মডেলিং দিয়ে। টলিউের জনপ্রিয় ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’, ‘বাঙালী বাবু ইংলিশ ম্যাম’ এমন বেশ কিছু হিট ছবির রেকর্ড রয়েছে তার নামের পাশে। সেই মিমি শিক্ষায় ইংলিশে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়: চ্যালেঞ্জ, খোকা ৪২০সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ড ২০১০` জিতে ছিলেন। একাডেমিক শিক্ষার দিক দিয়েও তিনি বেশ এগিয়ে। তিনি লক্ষ্ণৌ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট থেকে মাস্টার্স করেছেন। পরে ইনফরমেশন টেকনোলজির উপর আরো একটি মাস্টার্স করেন।
রুক্মিণী মৈত্র : একজন বাঙালি মডেল। তিনি বহু আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পণ্য ও ম্যাগাজিনে শুভেচ্ছা দূত হিসাবে কাজ করেছেন। সেই রুক্মিণী লরেটো কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে পরে এমবিএ-ও শেষ করেন।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: বাংলা ও হিন্দি দুই ভাষার চলচ্চিত্রে বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। টলিউডের অন্যতম অভিজ্ঞ অভিনেত্রী ধরা হয় ঋতুপর্ণাকে। তুনি লেডি ব্রেবর্ন থেকে ইতিহাসের ওপর গ্র্যাজুয়েশনও কমপ্লিট করেছেন।
পায়েল সরকার: তিনি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা টিন ম্যাগাজিন উনিশ-কুড়ি প্রচ্ছদের এই মডেল ২০০৪ সালে পায়েল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে ডিগ্রী নেন। পাশাপাশি অভিনয়েও বেশ খ্যাতি অর্জন করেন।
পাওলি দাম: সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস ‘কালবেলা’ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রে নায়িকা মাধবীলতার ভুমিকায় অভিনয়ের পর বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে পুরানো কলকাতার বৌবাজার নামক স্থানে।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে কেমিস্ট্রিতে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে কেমিস্ট্রিতে পোস্ট গ্রাজুয়েটও করেন।