ঝালকাঠি : ঝালকাঠি জেলায় এবছর ৮৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পরও ধানের বাজার ভাল থাকায় বোরো চাষিরা লাভের স্বপ্ন দেখছিলেন।
জেলায় বোরো মৌসুমে ধান কাটা শুরু করেছে কৃষকরা। প্রধানত ২টি উপজেলা ঝালকাঠি সদর ও নলছিটির বোরো প্রধান এলাকায় চাষিরা এখন ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকটে পড়েছে। পাকা ধান ক্ষেতেই তাই পেকে ঝরে যাচ্ছে।
চাষিরা ও জমির মালিকরা দৈনিক ৬’শ থেকে ৭’শ টাকা মজুরি দিয়েও কৃষি শ্রমিক পাচ্ছে না। আর এ কারণে মাঠের ধান মাঠে ঝরে গিয়ে উৎপাদন হারাচ্ছে চাষিরা।
কৃষি বিভাগের দাবি, আগামীতে পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে ঝালকাঠি জেলায়ও বিভিন্ন এলাকায় মিল কারখানা গড়ে উঠবে। তখন কৃষি শ্রমিক সংকট আরও বড় আকার ধারণ করবে।
সে কারণেই কৃষি বিভাগ সেই দিক বিবেচনা করে কৃষকদের দলবদ্ধ করে চাষাবাদকে যান্ত্রিকতার আওতায় আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কৃষকদের উপস্থিতিতে কম্বাইন্ড হারবেষ্টার, ডিপার মেশিন- এই যন্ত্রগুলি দিয়ে কৃষকের মাঠের ধান কর্তন করে মাঠ দিবস করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যন্ত্রের উপকারিতা ও অর্থ নৈতিক সাশ্রয় বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে।
ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান, কৃষি শ্রমিকের সংকটের বিষয়টি মাথায় রেখেই চাষাবাদে কৃষকদের যান্ত্রিকতায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য রিপার মেশিন ও কম্বাইন্ড হারবেষ্টার সহ কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য করা শুরু করা হয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম