ঢাকা : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কন্যাদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে চালু করেছিলেন কন্যাশ্রী প্রকল্প। সে প্রকল্পের সাফল্য বারবারই বিভিন্ন সভায় তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোটা দেশের মধ্যে রাজ্যের এই প্রকল্প যে আলাদা মাত্রা বহন করে, তা বারবার বলেছেন। কিন্তু এবার আর তা শুধু তাঁর নিজের মুখের কথা হয়ে থাকল না। শুধু দেশের গণ্ডির মধ্যেও সীমাবদ্ধ থাকল না কন্যাশ্রীর সাফল্য। খোদ জাতিসংঘের মঞ্চে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিল মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্প।
রাজ্যে শিল্পের খোঁজে নেদারল্যান্ডসে সফরে মুখ্যমন্ত্রী। বণিকসভার সামনে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন। প্রবাসী বাঙালিদের কাছেও রাজ্যের হাল আমলের ছবিটি পরিষ্কার করেছেন। রাজ্যের সাফল্যের খতিয়ান এতদিন পইপই করে বলতেন তিনিই। তবে সে তো সব প্রশাসনই বলে থাকে। কিন্তু এ ধরনের কথা আর অন্তত সাজে না। তাঁর তাবড় বিরোধীদের মুখে কুলুপ এঁটে দিল কন্যাশ্রীর এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
এদিন জাতিসংঘের এক অনুষ্ঠানে কন্যাশ্রীর সাফল্যের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। যেভাবে গরিবদের সাহায্যে সরকার এগিয়ে এসেছে তা জানান গোটা বিশ্বকে। রাজ্যের মেয়েদের স্বনির্ভর করে তুলতে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে যেভাবে কন্যাশ্রীর সাহায্য এগিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা মুগ্ধ করে জাতিসংঘের তাবড় কর্তাব্যক্তিদেরও। প্রায় ৬৩টি দেশের মধ্যে জনসেবার নিরিখে সেরা প্রকল্পের সম্মান পায় মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্প।বাংলার মানুষকেই এই সম্মান উৎসর্গ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানিয়েছেন, এই সম্মান বাংলার মা-মাটি-মানুষের। সত্যিই যে বাঙালির কাছে এ এক গর্বের দিন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।