ছবি: বহুমাত্রিক.কম
সাভার : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে সম্ভাব্যপ্রার্থীরা তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
সেই সাথে আওয়ামীলীগের শরিক দলগুলোও নিজ নিজ আসনে মনোনীত হতে জোর লবিং শুরু করেছেন এবং নিজ নিজ এলাকার মানুষের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করেতে এরই মধ্যে এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন। সেই সাথে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানেও যোগদান করছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ (সাভার ও আশুলিয়া) নির্বাচনী এলাকায় ১৪ দলের শরীক দল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী তরুণ রাজনীতিক মুফতি মো. মাহাদী হাসান বুলবুল।
বিশেষায়িত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বহুমাত্রিক.কম’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ঢাকা-১৯ আসন থেকে পার্টির (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন) মনোনয়ন নিয়েই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে দাবি করেন। সেই সাথে তিনি পার্টি থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলেও এ জানান। সাক্ষাৎকারের চুম্বকাংশ নীচে তুলে ধরা হচ্ছে-
বহুমাত্রিক.কম : আপনি রাজনীতিতে কিভাবে আসলেন ?
মুফতি মো. মাহাদী হাসান বুলবুল : ছাত্র জীবন থেকেই আমি ইসলামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে ইসলামী ছাত্র সেনায় সদস্য পদে যোগদান করি। একই বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) নামের একটি রাজনৈতিক দলের অভিষেক ঘটলে আমি ইসলামী ছাত্রসেনা থেকে পদত্যাগ করি এবং বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (এমপি)’র আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ওই বছরেই তিনি বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনে সদস্য পদে যোগদান করি।
বহুমাত্রিক.কম : আপনি বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) এ কেন যোগদান করলেন ?
মুফতি মো. মাহাদী হাসান বুলবুল : আপনারা হয়তো জানেন আমার পিতা নূর মোহাম্মদ আল চিশতী নিজামী একজন পীর। এছাড়া আমি গাউছুল আজম বৈরাবরী এবং গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী ১৪ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এ যারা সম্পৃক্ত আছেন তারা সকলেই এ মাইন্ডের। তাই আমি এ দলে যোগদান করেছি। সবচেয়ে বড় কথা অসাম্প্রদায়িক চিন্তা ভাবনা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই এ পার্টি গঠিত হয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম : বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) এ আপনার বর্তমান অবস্থান কোন পর্যায়ে?
মুফতি মো. মাহাদী হাসান বুলবুল : বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনে আমি ২০০৫ সালে সদস্য পদ নিয়ে যোগদান করি। কিন্তু আমার রাজনৈতিক কর্মদক্ষতার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে এ পার্টির আশুলিয়া থানা প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আমাকে ঢাকা জেলার আহবায়ক হিসেবে মনোনিত করা হয়। এখন পর্যন্ত ওই পদেই বহাল রয়েছি এবং জনগণের খেদমত করাই আমার লক্ষ্য।
বহুমাত্রিক.কম : দল আপনাকে মনোনয়ন দিবে এব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী ?
মুফতি মো. মাহাদী হাসান বুলবুল : আসলে আমার দল মানে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) ১৪ দলের একটি শরীক দল। যদি দল মনে করে ঢাকা-১৯ আসন (সাভার ও আশুলিয়া) বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন থেকে মনোনিত করা হবে তাহলে আমি শতভাগ আশাবাদী।
বহুমাত্রিক.কম : আপনি তো নতুন মূখ, সেই সাথে তরুণও বটে। এছাড়া এ আসনে আরও হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে এটা আপনি কিভাবে দেখেন ?
মুফতি মো. মাহাদী হাসান বুলবুল : এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আমার থেকে আরো অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীও মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে তারা আমার থেকে অনেক বেশী জনপ্রিয়। তবে আমিতো ১৪ দলের শরিক দল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। দল যদি মনে করেন আমাকে মনোনয়ন দিবেন তাহলে অবশ্যই দলের প্রতিটি নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে যাবো ইনশাহআল্লাহ।
বহুমাত্রিক.কম : সময় দেওয়ার জন্য ‘বহুমাত্রিক.কম’ এর পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
মুফতি মো. মাহাদী হাসান বুলবুল : আপনাকেও ধন্যবাদ। সেই সাথে ‘বহুমাত্রিক.কম’ কেও মোবারকবাদ।
মুফতি মো. মাহাদী হাসান বুলবুল সম্পর্কে
মুফতী মো. মাহাদী হাসান বুলবুল ঢাকা জেলার সাভার উপজেলাধীন শিমুলিয়া ইউপি’র গাজীবাড়ি গ্রামের নূর মোহাম্মদ আল চিশতী নিজামী’র ছেলে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া কাদেরীয়া তৈয়েবিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে তিনি বিএ অনার্স, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএমএফ এবং বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞানে গবেষণা করছেন।
বহুমাত্রিক.কম